Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:08 pm

মানবদেহের অণুজীব গবেষণায় বিশেষজ্ঞদের গুরুত্বারোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবদেহে থাকা বিভিন্ন ধরনের অণুজীব বা মাইক্রোবায়োম নিয়ে দেশে গবেষণার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রোববার সকালে রাজধানীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসে (বিআরআইসিএম) মাইক্রোবায়োমের সঙ্গে স্বাস্থ্য এবং সক্রামক ব্যাধির সম্পর্ক নিয়ে এক সেমিনারের এ দাবি জানান তারা।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা জানান, মানুষের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন মাইক্রোবায়োমের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে বাড়ছে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।

এ সময় মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় ইজিবায়োম ইনকের (যুক্তরাষ্ট্র) চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. নূর এ হাসান বলেন, ‘মানবদেহে বসবাস রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অণুজীব বা মাইক্রোবায়োমের। এর প্রায় ৯৫ শতাংশের বসবাস অন্ত্রে। শরীরে থাকা বেশিরভাগ মাইক্রোবায়োমই উপকারী, যা মানুষের সুস্থ থাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে শিল্পায়নের ফলে মানুষের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসে নেতিবাচক পরিবর্তন, ফাস্টফুট-জাঙ্কফুড প্রবণতা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন মাইক্রোবায়োমের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ফলে শরীরের পরিপাকক্রিয়া বিনষ্ট হওয়াসহ নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’

মানুষের শরীরের উপকারী মাইক্রোবায়োমকে সতেজ রাখতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অধিক হারে শাকসবজি গ্রহণ, খেলাধুলা, প্রকৃতি ও মাটির সংস্পর্শে থাকার তাগিদ দেন এই বিশেষজ্ঞ।

বিআরআইসিএম মহাপরিচালক ড. মালা খান বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ইজিবায়োম এবং ডিএনএ সল্যুশনের সঙ্গে মিলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করতে চাই।’

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘মাইক্রোবায়োম নিয়ে গবেষণা আরও আগে শুরু করা দরকার ছিল। এখন আপনারা শুরু করতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। আমাদের দুটি জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাব আছে আন্তর্জাতিক মানের। এই ল্যাবগুলো যদি আপনাদের কোনো কাজে দরকার হয়, যেকোনো সময় আপনারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনএ সল্যুশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাবেদ

ইকবাল পাঠান এবং বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন।