মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পেশাটি উত্তরোত্তর আকর্ষণীয় হচ্ছে

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় বিবিএ-এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরে সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব ল (এলএলবি) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট (আইপিএম) থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) থেকে সার্টিফিকেট ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি একাধারে আইপিএম ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম)-এর ফেলো সদস্য। সম্প্রতি তিনি দেশের একমাত্র চার্টার্ড এইচআর ইনস্টিটিউট চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে সিএইচআরএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাটি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন শেয়ার বিজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে মো. হাসানুজ্জামান পিয়াস

শেয়ার বিজ: ক্যারিয়ার গড়ার পেছনের গল্প দিয়েই শুরু করতে চাই…

কামরুজ্জামান: আমার ক্যারিয়ারের শুরু ২০০৬ সালে, বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কস লিমিটেডে সহকারী অ্যাডমিন অফিসার হিসেবে। এরপর ভিয়েলাটেক্স গ্রুপ ও জেনেসিস ওয়াশিং লিমিটেড কোম্পানিতে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করেছি। পরবর্তীতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে হংকংভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি এপিক গ্রুপে যোগদান করি। সর্বশেষ বহুজাতিক কোম্পানি সিপি গ্রুপের বাংলাদেশ কার্যক্রমে যোগদানের পাশাপাশি বর্তমানে চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছি।

শেয়ার বিজ: সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি সম্পর্কে কিছু বলুন…

কামরুজ্জামান: সিপি বাংলাদেশ থাইল্যান্ডভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানি। এটি বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশে ব্যবসা করছে। মূলত এটি ফিড, ফার্ম ও ফুড নিয়ে কৃষিভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করে। বাংলাদেশে সিপির তিনটি ফিড মিল, ৭০টি ফার্ম ও প্রায় ৩০০টি ফুড অউটলেট আছে। খুলনা ও রাজশাহী ছাড়া দেশের প্রায় সব মেট্রোপলিটন শহরেই সিপির আউটলেট বা কার্যক্রম আছে। কৃষিভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি বর্তমানে বাংলাদেশে প্রথম অবস্থানে। বাংলাদেশে সিপির পথচলা শুরু ১৯৯৭ সালে। সে থেকেই উত্তরোত্তর অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসার সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশ, দেশের উন্নয়ন ও দেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার বিজ: উন্নয়নমূলক কাজের বিশেষ কোনো দিকের কথা পাঠকদের বলবেন কি?

কামরুজ্জামান: সিপি বাংলাদেশ দেশে প্রায় ৩৫০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের যে আউটলেটগুলো আছে, সেগুলোতেও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের কর্মীদের স্কলারশিপ দিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিনিয়ত দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে। ফলে যারা বাইরে যাচ্ছেন, তারা ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানছেন, শিখছেন। এভাবে আমাদের দেশের মানুষও ওই ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু শিখছে। কোম্পানিটি মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাস্তাঘাট, স্কুল এবং পরিবেশের উন্নয়নেও কাজ করে চলেছে। আমরা বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিম সরবরাহ করি, ফলে স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রোটিনের অভাব পূরণ হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফার্ম করেছি। যাতে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে নিজেদের আরও উন্নত করতে পারে।

শেয়ার বিজ: বাংলাদেশে এ কোম্পানির অগ্রগতি কতদূর?

কামরুজ্জামান: উন্নতির কথা যদি বলেন, তবে বলবো—আমাদের ব্যবসা যেমন ফিড, ফার্ম, ফুড—এ তিনটিই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। ফিড তৈরি হয়ে যাচ্ছে ফার্মে, সেখান থেকে মুরগি উৎপাদন হচ্ছে। তারপর সেই মুরগি খাবারের উপযোগী করা হচ্ছে। আমাদের ফিড মিল একটি থেকে তিনটিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা ১৫০ জনকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম, সেখানে আজ প্রায় ৩৫০০ জনের কর্মীবাহিনী গড়ে উঠেছে। আগে আউটলেট ছিল শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক, বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ৩০০টি আউটলেট আছে। আরও একটি ব্যাপার হলো আমাদের কোম্পানির ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে। এখানে সবচেয়ে বড় অর্জন ‘ব্র্যান্ডিং’। মানুষ এখন বলে না যে, ‘ফ্রাইড চিকেন খাবো’; সবাই বলে ‘সিপি খাবো’—এটাই আমাদের অর্জন। ধীরে ধীরে আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।

শেয়ার বিজ: আপনাদের কোম্পানির ভিশন ও মিশন সম্পর্কে জানতে চাই।

কামরুজ্জামান: আমাদের ভিশন হচ্ছে কিচেন অব ওয়ার্ল্ড। অর্থাৎ দেশের প্রত্যেক ঘরে আমাদের সিপির পণ্য পৌঁছে দেব । বেশকিছু মিশনও রয়েছে, বিশেষ করে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নটা খুবই গুরুত্বসহকারে দেখছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রথমেই দেশ, এরপর দেশের মানুষ। তারপর হচ্ছে ব্যবসা।

শেয়ার বিজ: যদি অন্য কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেন, তবে কি বলবেন?

কামরুজ্জামান: অন্যদের সঙ্গে তুলনার কথা বললে সেটা ঠিক হবে না। কারণ অন্যদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপারটি ভিন্ন। আপনারা যখন অন্য রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন, তখন সেখানে খাচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, সময় ব্যয় করছেন। কিন্তু আমাদের ব্যাপারটা হচ্ছে ‘নেবেন ও চলে যাবেন’ (টেক অ্যান্ড অ্যাওয়ে)।

শেয়ার বিজ: অন্য কোম্পানি থেকে সিপির বিশেষ পার্থক্য কি?

কামরুজ্জামান: অন্য কোম্পানি থেকে আমাদের সব থেকে বড় পার্থক্য হলো দুটি। এক. আমাদের কোয়ালিটি, যেটা সর্বদা সর্বোত্তমটা প্রদান করার চেষ্টা করি। আর অন্যটা হলো আমাদের অঙ্গীকার। এ দুটি ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। আমরা প্রত্যেকটি দেশে একই কোয়ালিটিসম্পন্ন পণ্য প্রদান করে থাকি। এজন্য আমরা বলি ‘উই হ্যাভ ওয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’।

শেয়ার বিজ: কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আপনারা কী ধরনের পলিসি অনুসরণ করেন?

কামরুজ্জামান: কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা দুইভাবে রিক্রুটমেন্ট করে থাকি। অনভিজ্ঞ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্নাতকধারীদেরক নিয়োগ দিয়ে থাকি। অনভিজ্ঞ স্নাতকধারীর ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য থাকে সুখ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে থাকি, যার মাধ্যমে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমাদের কোম্পানিতে শিক্ষার্থীদের ইনটার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বাছাই করে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকি। আমরা শুধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই কাজ করছি তা নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য খ্যাতিসম্পন্ন পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও জনবল বেছে নেই।

শেয়ার বিজ: কর্মচারী বাছাইয়ে আপনারা কাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন?

কামরুজ্জামান: কর্মী বাছাইয়ে আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। দুটি ইন্টারভিউর প্রথমে প্রিলিমিনারি নেই; এরপর ফাইনাল ইন্টারভিউর মাধ্যমে চাকরি নিশ্চিত করি। এছাড়া কর্মী নিয়োগে সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

শেয়ার বিজ: কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকাগুলো কীভাবে পালন করেন?

কামরুজ্জামান: এ ক্ষেত্রে আমার ওপর অনেকাংশই নির্ভর করে। তারপরও আমাদের একটি কর্মীদল আছে, যাদের ভূমিকা অনেক বেশি। আর একজন  মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে আমাকে অনেক পন্থা অবলম্বন করতে হয়। পন্থা ও কর্মীদল ছাড়া এ কাজ করা সম্ভব নয়। আর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাজগুলো ভাগ করে করা হয়। একেকটি কাজ বা একেকটি ধাপ নির্দিষ্ট মানুষের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের কোম্পানির কালচার ও কর্মী-কর্মকর্তাদের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা আন্তরিক ভূমিকা রাখতে পারি। কোম্পানির আরেকটি ভালো দিক হলো আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। একজন সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে খুব সহজেই একজন জুনিয়র কর্মকর্তা তার সমস্যা শেয়ার করতে পারেন। ফলে আমাদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া হয়ে থাকে, যা সব কোম্পানির কর্মচারী-কর্মকর্তার মাঝে তেমন দেখা যায় না। এ পরিবেশটা আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি। ফলে আমি সহজে কোনো সমস্যা আসার আগেই একটু হলেও বুঝতে সক্ষম হই। তখন দ্রুত সে সমস্যার সমাধান করতে পারি। আর এ সবকিছু করতে সক্ষম হয়েছি টিমওয়ার্কের জন্য, একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। এখানে টিমের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা প্রত্যেক মাসেই ২০ থেকে ২৫ জন করে কর্মী রিক্রুট করে থাকি। এটি বেশ কঠিন কাজ হলেও কিন্তু সহজেই করতে পারি।

শেয়ার বিজ:  কোম্পানি কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করেন কি?

কামরুজ্জামান: আমাদের প্রতিনিয়তই কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করতে হয়। যেহেতু আমরা দেশ ও মানুষের উন্নয়ন চাই, সেহেতু সচেতনতার সঙ্গেই কাজ করে থাকি। যেমন কর্মীদের বেতন, শ্রমঘণ্টা ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বসহকারে নিয়েই কর্মীদের বেতনসহ অন্যান্য সুবিধাদি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রদান করা হয়।

শেয়ার বিজ: বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কি?

কামরুজ্জামান: প্রচলিত আইন-কানুন অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করতে সমস্যা হয় না তা বলবো না। ব্যবসা করতে গেলে প্রত্যেক দেশেই কিছু আইন-কানুন মেনে চলতে হয়। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে—এটা স্বাভাবিক।  তারপরও আমরা সর্বাবস্থায় দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর একটি ব্যাপার হচ্ছে, বিশ্বমানের ব্যবসার জন্য বা ভবিষ্যতের চিন্তা করে শুধু লাভের কথা ভাবলেই ব্যবসা করা সম্ভব নয়। অবশ্যই দেশ, মানুষ, পরিবেশ, আইন-কানুন সবকিছুর কথা ভেবেই ব্যবসা করতে হয়।

শেয়ার বিজ: কর্মীদের উন্নতির জন্য আপনারা বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি?

কামরুজ্জামান: কর্মীদের উন্নতির জন্য আমরা প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি, স্কলারশিপের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে পড়াশোনা করিয়ে আনি। আরও নতুন নতুন প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে কর্মীদের প্রতিনিয়ত উন্নত কর্মী হিসেবে গড়ে তোলায় গুরুত্বারোপ করি।

শেয়ার বিজ: পেশা হিসেবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপককে (এইচআরএম) কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

কামরুজ্জামান: পেশা হিসেবে এটি খুবই চমৎকার একটি পেশা। নিজের উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে এখানে। নিজের পেশাকে এইচআরএম হিসেবে গ্রহণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বলেই আমি মনে করছি। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও যোগাযোগ দক্ষতার সঙ্গে ব্যবসা সম্পর্কিত জ্ঞান রাখতে হয় এ পেশার মানুষদের। তাছাড়া বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে পেশাটি। পাশাপাশি এটি বেশ চ্যালেঞ্জিংও।

শেয়ার বিজ: যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?

কামরুজ্জামান: এইচআরএম বা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক বিষয়টি পেশা হিসেবে দিনে দিনে তরুণদের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। যদিও পেশাটি নতুন কিন্তু উত্তরোত্তর বেশ লোভনীয় হয়ে উঠছে। এ পেশায় ভালো করতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়ত সমসাময়িক বিষয়ের ওপর খোঁজ-খবর রাখতে হবে। বিভিন্ন পেশাদার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, যা এইচআর বিভাগে কাজ করতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে এটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নামোল্লেখ করা যেতে পারে।

শেয়ার বিজ: একজন সফল এইচআর কর্মীর কি কি গুণ থাকা জরুরি?

কামরুজ্জামান: প্রথমত একজন ভালো মানুষ হতে হবে। শুধু যে কর্মক্ষেত্রে তা কিন্তু নয়, ঘরে-বাইরে সবখানে সুন্দর মনের অধিকারী হতে হবে। দ্বিতীয় ব্যাপার হলো, অন্যের চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখতে হবে অর্থাৎ আপনি কেবল আপনার চিন্তা করে কাজ করলেই হবে না। অন্যরা বিষয়টিকে কীভাবে গ্রহণ করছেন, সেটি বুঝতে হবে। তাছাড়া অন্যের প্রতি, আপনার গ্রুপ সদস্যদের প্রতি যথাযথ সম্মান থাকতে হবে। প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে, বুঝতে হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০