মো. মিজানুর রহমান: প্রবাদে আছেÑ‘জোর যার মুল্লুক তার।’ এই নিকৃষ্ট ক্ষমতার মোহ যদি কোনো ব্যক্তি, সমাজ, গোষ্ঠী বা দেশকে পেয়ে বসে তারা মানবাধিকার ইস্যুকে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করে। সেখানে মানবাধিকার বলতে কিছুই থাকে না, তা লঙ্ঘিত হয় বারংবার।
মানবাধিকার বলতে আমাদের সাধারণভাবে যা বুঝি, তা হলো মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে যেসব অধিকার রয়েছে, তা স্বাধীনভাবে ভোগ করা। এটি তার জš§গত অধিকার, নাগরিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারও। এই অধিকার থেকে যদি কোনো ব্যক্তি বা সমাজ বা রাষ্ট্র কাউকে বঞ্চিত করে, তবে তা অবশ্যই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
ইউক্রেন-রাশিয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলমান। যদিও মস্কো কিয়েভ আক্রমণকে যুদ্ধ বলতে নারাজ। তারা এটাকে নাৎসিবাদী সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার সামরিক অভিযান হিসেবে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কিরবি তার এক বক্তব্যে বলেন, ইউক্রেনে পুতিন ও তার বাহিনী যা করছে, তা তাকিয়ে দেখা কঠিন, কোনো নৈতিকতায় এর ব্যাখ্যা দেয়া যাবে না।
বলাবাহুল্য, কিয়েভের সঙ্গে মস্কোর ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ২০১৪ সালে জনগণের বিক্ষোভের মুখে রুশপন্থি সরকারের ভিক্টরি ইয়ানুকোভিচ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, যেখানে প্রত্যক্ষ মদত ছিল পশ্চিমা বিশ্বের। ফলে ইউক্রেনের সঙ্গে মস্কোর সুদীর্ঘ পথচলার উষ্ণ সম্পর্কে চিড় ধরে। ধারাবাহিকভাবে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে। কার্যত ২০১৪ সালের পর থেকে ইউক্রেনের রাজনীতিতে রুশ প্রভাব ব্যাপক হ্রাস পায়। সেইসঙ্গে কিয়েভ অতিরঞ্জিত পশ্চিমাঘেঁষা নীতি অনুসরণ এবং ন্যাটোতে যোগদানের আগ্রহ মস্কো ভালো চোখে দেখেনি, তা সহজেই অনুমেয়।
শুধু তাই নয়, ২০১৫ সালে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়। চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল সংবিধান সংস্কার করে ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা, যা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে না। দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও উপরিউক্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি ইউক্রেন সরকার। প্রসঙ্গত, ২০১৯ জেলেনেস্কি ক্ষমতায় আসীন হয়ে ন্যাটো জোটের সদস্য হতে জোরালো তৎপরতা শুরু করে কিয়েভ। এমনকি ২০২০ সালে ঊহযধহপবফ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ঢ়ধৎঃহবৎ হয় ইউক্রেন। বরাবরই ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের বিষয়ে রাশিয়া ঘোর আপত্তি জানালেও কর্ণপাত করেনি কিয়েভ। বরং তারা সামরিক অভিযানের রাস্তাকে মসৃণ করে দিয়েছে বলেই অনুমিত হয়।
বিশ্লেষকদের অভিমত, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পুতিন হঠাৎ করে গ্রহণ করেননি, বরং দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ, যে ছকের বাস্তবায়ন ঘটে ২০১৪ সালের পর ইউক্রেন যখন অতিমাত্রায় পশ্চিমাঘেঁষা নীতি অনুসরণ করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে বিশ্ব আজ মানবতার পক্ষে একাট্টা। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব আজ পরোক্ষ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা প্রায় দুই বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধে ইউক্রেনকে ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক এবং সমরাস্ত্রের সমর্থন দিয়ে আসছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর কি সবার জন্য সমান? স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার নগ্ন হস্তক্ষেপে কখনও সমর্থন দেওয়া যায় না। যে মানবিক বিবেচনায় তারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছে, ফিলিস্তিনিদের মানবিক বিপর্যয়ের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না? বরং তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে আর্থিক, সামরিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েল সফর করে জানান, যত দিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকবে, তত দিন তারা ইসরায়েলের পাশে থাকবে।
একই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন দ্বিমুখী নীতি আরও স্পষ্ট হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। গাজায় বিপর্যস্ত মানবিক পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্ব যুদ্ধবিরতির দাবি জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের একক ভেটোতে তা বাতিল হয়। এ নিয়ে খোদ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ভূকৌশলগত বিভাজনে পক্ষাঘাতগ্রস্ত নিরাপত্তা পরিষদ।
আইরিশ আইনপ্রণেতা রিচার্ড বয়েড ব্যারেস বলেন, ‘পুতিনের মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা সঠিক সময়ে শক্তিশালী ও তেজি ভাষা ব্যবহার করছি। কিন্তু ইসরায়েলের মানবতার বিরুদ্ধে আচরণের বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ থাকার পরও আমরা একই প্রতিবাদী ভাষা প্রয়োগ থেকে বহু দূরে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অগণিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। কিন্তু ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে নির্যাতনের ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত তেমন কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এমনকি ইসরায়েলের নিকৃষ্ট অপকর্মকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।’
ফিলিস্তিনে এখন যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির দ্বিতীয়টি নেই। গত বছরের ৭ অক্টোবর বিদ্রোহী হামাসের ইসরায়েলে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসন। সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিন উপত্যকায় হামলায় এক বছরে প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়, আহত হয়েছে প্রায় ৯৭ হাজার। এ তথ্য জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শরণার্থী শিবির, আশ্রয়কেন্দ্র, বিয়ের অনুষ্ঠান, কিংবা শোকানুষ্ঠানেও বোমা হামলা চালিয়ে তারা অগণিত মানুষকে হত্যা করছে। শত শত শিশুকে হত্যার পর হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই গণকবর দেয়া হয়। এসব আগ্রাসী শক্তি শুধু মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে সীমাহীন অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ওইসব জনপদে হত্যাকাণ্ড ছাড়াও লাখো মানুষকে শরণার্থীতে পরিণত করা, তাদেরকে অপমান-অপদস্থ করা এবং তাদের ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ধ্বংস করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে ইসরায়েল যেন রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে। এছাড়া গত কয়েক দিনে ইসরাইল লেবাননে হামলা করে হত্যা করছে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিককে। তাতেও দোষ দেখেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
একটি রাষ্ট্র কর্তৃক ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকতায় এমন নৃশংসতা কি মানবজাতি আগে দেখেছে কখনও? এর উত্তর ‘না’। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেভাবে একের পর এক ইসরায়েলি বর্বরতাকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছিল, এর পরিণতিতে বর্তমানের এই বর্বরতা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে। নিজ দেশ রক্ষায় লড়াইরত ইউক্রেনীয়দের সমর্থন দিচ্ছে পশ্চিমা কূটনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যম। কিন্তু ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনিদের তারা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির প্রতীক হিসেবে একটি ছবি সামনে আসে। ছবিতে এক নারীর চেহারা দেখা যায়, যিনি ফিলিস্তিনি পতাকার পাশের চোখটি বন্ধ করে রেখেছেন, আর ইউক্রেনীয় পতাকার পাশের চোখটি খোলা রেখেছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের কথা বলে পশ্চিমা শক্তিগুলো নির্বিবাদে সবকিছুই মেনে নিচ্ছে। সেই জোরে ইসরায়েল গলা উঁচু করে বলছে, গাজাকে তারা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে। যেন এক ধরনের বৈধতা তারা পেয়ে গেছে। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলকে এমন ব্ল্যাংক চেক দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু মিত্র দেশের প্রতি পশ্চিমাবিশ্বের এমন পক্ষপাতিত্ব দীর্ঘদিনের। একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫৩টি অঞ্চলে ২৪৮টি সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১টিই মার্কিন সমর্থিত ছিল, যা মোট সংখ্যার ৮১ শতাংশ। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে ২০০৩ সালে মার্কিন জোট ঠুনকো অভিযোগের ভিত্তিতে ইরাককে নিমিষেই ধ্বংস করে দেয়। যেখানে জাতিসংঘের অনুমোদন ছিল না, কিংবা অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে। সৌন্দর্যময় একটি দেশকে নরকে রূপান্তর করে মার্কিন জোট, যে যুদ্ধে প্রাণ হারায় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। তখন ইউরোপের বুলি আওড়ানো মানবতা কিংবা নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল কোথায় ছিল? কোথায় ছিল বিশ্ববাসীর মানবতার দরদ? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
২০১১ সালে লিবিয়ায় মানবাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে নগ্ন হামলা চালায় মার্কিন জোট। ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি এবং প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। দুঃখজনক হলেও সত্য, লিবিয়ায় এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র কিংবা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা। ইরাক ও লিবিয়ার মতো স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর মার্কিন জোট নগ্ন হামলা করলেও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়নি, বরং উপরিউক্ত অভিযানগুলোকে জায়েজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর ৭০ বছর ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চালালেও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্ব। ফিলিস্তিনিদের আহাজারি মানবতার পক্ষে সেøাগান দেয়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ তাদের মিত্রদের কানে পৌঁছায়নি। এমনকি ইসরায়েলকে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়নি। অথচ ইরান, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমার, ভেনিজুয়েলা, কিউবাসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও তাকে জায়েজ করার জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছে মার্কিন জোট।
নিঃসন্দেহে পশ্চিমাদের এমন আচরণকে ‘ডাবল স্ট্যান্ড’ নীতি হিসেবে উল্লেখ করা যায়, যার অর্থ পশ্চিমাদের বিবেকবোধ কিংবা মানবতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান সবার জন্য সমান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো তথাকথিত মানবতার ধ্বজাধারী রাষ্ট্র যদি দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলের আগ্রাসনকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে যেতে পারে, তাহলে ইরানের দিক থেকে ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টার ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতায় তো কোনো দোষ হওয়ার কথা নয়।
বাস্তবতা হচ্ছে, মানবাধিকার বিষয়টি বর্তমানে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এ কারণে মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। মানবাধিকার বিষয়ে পশ্চিমা সরকারগুলোর স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণে পাশ্চাত্যের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষরা সবসময় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। শান্তির আশায় বিশ্বমানবতা আজ পথ চেয়ে বসে আছে। জানি না সেই শান্তির দেখা কত দিনে মিলবে। তবে আমরা আশাবাদী। বৃহৎ শক্তিগুলো যত দ্রুত নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শান্তির পথে অগ্রসর হবে, তত দ্রুতই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।