এক সঙ্গে অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেএমন রোগের সংখ্যা কম নয়। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ২৫টি রোগের তালিকা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিইডি ম্যাগাজিন। আজ থাকছে ১৬তম প্রাণঘাতী রোগ ইবোলা বিষয়ে ইবোলা
রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর ইবোলা নদীর নামে রোগটির নামকরণ হয়েছে। এ নদীর তীরে রোগটির প্রথম সংক্রমণ ঘটে। ঘটনাটি ১৯৭৬ সালের। সাধারণ জ্বরের পাশাপাশি মাংসপেশিতে ব্যথা ও অন্য কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন তারা। তবে দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ রোগীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। শুরু হয় মহামারী। তখন ধারণা করা হয়, বাদুড়ের খাওয়া ফল থেকে ইবোলা ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে। এরপর মানুষ থেকে মানুষে ছাড়ায় রোগটি।
২০১৪ থেকে ২০১৬Ñএ দুবছরেও সারা বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম ছিল ইবোলা। তখন পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন, গিনি-বিসাউ, মালি, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে রোগটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত হন অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রেও। বিশ্বের প্রায় সব দেশে তখন সতর্কতা জারি করা হয়।
ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণত দুই থেকে ২১ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর আগে আক্রান্তদের মাধ্যমে রোগটি ছড়ায় না। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগী সংক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে আছেÑহঠাৎ জ্বর, তীব্র ক্লান্তি, পেশি, মাথা ও গলায় ব্যথা। এরপর আসে বমি ও ডায়রিয়া। মাঝেমধ্যে রক্ত পড়ে বমি কিংবা ডায়রিয়ার সঙ্গে। লিভার ও কিডনির কাজে বিঘœ ঘটে। শুরু হয় তলপেটে ব্যথা। এরপর হতে পারে শ্বাসকষ্ট, বুক ব্যথা ও শরীরে পানি চলে আসা। অনেক সময় চামড়ায় লাল ফুসকুড়িও দেখা দেয়।
ইবোলায় আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই মারা যায়। আরও আশঙ্কার কথা, আজও ইবোলার শতভাগ কার্যকর ওষুধ কিংবা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।