রতন কুমার দাস: একসাথে অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এমন রোগের সংখ্যা কম নয়। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ২৫টি রোগের তালিকা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিইডি ম্যাগাজিন। আজ থাকছে ১৫তম প্রাণঘাতী রোগ অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) বিষয়েঅ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু)
ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় রোগ এটি। রোগটি পক্ষীজ্বর, বার্ড ফ্লু, বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জা ও অ্যাভিয়ান ফ্লু নামেও পরিচিত। পাখিদের রোগ হলেও এটি মানুষের মধ্যে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে মানুষ ও মুরগি এক ঘরে বাস করলে এ রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
১৮৭৮ সালে ইতালিতে প্রথম অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৯৫৯ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার শুরু হয়। ইউরোপের পর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে তখন। দক্ষিণ এশিয়ায় রোগটি প্রথম দেখা যায় পাকিস্তানে, ১৯৯৫ সালে।
বাংলাদেশে এ রোগের ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৭ সালে। মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা পোলট্রি শিল্প মালিকদের। কেননা ওই বছরের পরও অনেক খামারে রোগটি দেখা দিয়েছে। ক্রমে তা মানুষের মধ্যেও ছড়ায়। প্রাণ হারান অনেকে।
আক্রান্ত পশু-পাখির সংস্পর্শ কিংবা বর্জ্য থেকে রোগটি হতে পারে। বিশেষ করে মুরগি কাটাকাটির সঙ্গে জড়িতরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য কয়েকটি সতর্কতা মেনে চলা যেতে পারে। যেমন খালি হাতে অসুস্থ কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো পাখি না ধরাই শ্রেয়। হাঁস, মুরগি কিংবা অন্য পশুপাখি ধরার পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। পশুপাখির ঘরে কাজ করার সময় নাক, মুখ ভালোভাবে ঢেকে নিতে হবে। হাঁস ও মুরগির মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে। রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে এমন স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্রান্ত পশু-পাখি যত দ্রুত সম্ভব মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
জ্বর, ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, হাঁচি, কাশি, বমি, পাতলা পায়খানা প্রভৃতি বার্ড ফ্লুর লক্ষণ। লক্ষণগুলো খুব সামান্য থেকে তীব্র হতে পারে। বাড়তে পারে মৃত্যুঝুঁকিও।
Add Comment