মানব ইতিহাসে প্রাণঘাতী ২৫

একসঙ্গে অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, এমন রোগের সংখ্যা কম নয়। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ২৫টি রোগের তালিকা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিইডি ম্যাগাজিন। আজ থাকছে ২১তম প্রাণঘাতী রোগ ইনফ্লুয়েঞ্জা বিষয়ে ফ্লু নামে পরিচিত রোগটি। সাধারণত হাঁচি ও কাশির মধ্য দিয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এ রোগ।

প্রতি বছর বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ফ্লুতে আক্রান্ত হন লাখ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় আড়াই থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন ফ্লুর কারণে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে ফ্লু ভয়াবহ আকার ধারণ না করলেও অতীতে অল্প সময়ের মধ্যে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ত। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালে বিশ্বের প্রায় চার কোটি মানুষ মারা যায় ফ্লুর কারণে। এর নাম ছিল স্প্যানিশ ফ্লু। তখন নিউ ইয়র্কের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণ ঝরে যায়। ১৯৬৮ সালে প্রাণ হারান প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

তিন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকেরা। এগুলো হচ্ছে এ, বি এবং সি।

টাইপ এ : পাখি, শূকর, ঘোড়া, সিল প্রভৃতি। কিছু ভাইরাস মানুষের মধ্যে বিস্তার করে

টাইপ বি : মানুষ ও সিল

টাইপ সি : মানুষ ও শূকর

টাইপ এ সবচেয়ে মারাত্মক। এই ভাইরাসটির কারণেই বিশ্বে কয়েকটি মহামারী হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-এর কারণেও কয়েকটি মহামারী দেখেছে বিশ্ব। টাইপ সি তেমন ক্ষতিকর নয়।

হাঁচি ও কাশির পাশাপাশি পাখির মল, লালা ও রক্ত থেকে ফ্লু ভাইরাস ছড়ায়। তাই যেখানে-সেখানে হাঁচি কিংবা কাশি দেওয়া উচিত নয়। থুথু ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান বেছে নিতে হয়।

লক্ষণ হিসেবে প্রথমে দেখা দেয় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথাব্যথা ও শুকনো কফ। এরপর পেশিতে ব্যথা, কানে ব্যথা, বমি, অস্থিরতা, দুর্বলতা, শ্বাসনালিতে প্রদাহ প্রভৃতি সমস্যায় ভোগেন আক্রান্ত ব্যক্তি।

এ রোগের প্রধান ওষুধ বিশ্রাম নেওয়া। জ্বর উপশমের জন্য প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। অনেক সময় রোগের জটিলতা হিসেবে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, নিউমনিয়া প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০