এক সঙ্গে অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেÑএমন রোগের সংখ্যা কম নয়। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ২৫টি রোগের তালিকা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিইডি ম্যাগাজিন। আজ থাকছে ১৯তম প্রাণঘাতী রোগ ডায়রিয়া বিষয়ে
ডায়রিয়া
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অন্যতম প্রধান ব্যাধি ডায়রিয়া। হাম, ম্যালেরিয়া ও এইডসের চেয়ে এ রোগে মৃত্যুহার বেশি। ২০১৭ সালে ‘নিউ গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডি’র তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে শিশুমৃত্যুর চতুর্থ বৃহত্তম কারণ ডায়রিয়া। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়। তবে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে ডায়রিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমেছে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। গবেষণায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দূষিত পানি ও খাবার, রোগজীবাণু, কৃমি, ময়লা প্রভৃতির কারণে ডায়রিয়া হয়। প্রচণ্ড গরম কিংবা বন্যার সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণজাতীয় পদার্থ বেরিয়ে যায়। দেখা দেয় পানিস্বল্পতা। ডায়রিয়ার সঙ্গে কখনও কখনও জ্বর, বমি কিংবা পেটব্যথাও হতে পারে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বেশি করে তরল খাবার যেমনÑভাতের মাড়, চিড়ার পানি ডাবের পানি প্রভৃতি খাওয়াতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে হবে। কখনও খাবার বন্ধ করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জিঙ্ক খাওয়ানো উচিত। পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ সেবন করানো যাবে না।
ইউনিসেফের গবেষণা অনুযায়ী, মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করলে ডায়রিয়ার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। সব সময় খাবার ঢেকে রাখা উচিত।