শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাই পারে দেশ ও দশের উন্নয়ন ঘটাতে। দেশের উন্নতির জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তক থেকে কী শিখছি আমরা? এই শিক্ষা আদৌ কি আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করছে? নাকি আমাদের পঙ্গু বানাচ্ছে?
যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড দ্রুত সংশোধন দেয়ার কথা বলেছেন। তবে সেই সংশোধনী কোনো পাঠ্যপুস্তক নিয়ে দেয়া হবে, সেই তথ্য দেয়া হয়নি। যারা পাঠ্যপুস্তক পড়বে বা পড়াবেন। তাদের মনে এক ধরনের খারাপ লাগা থেকেই গেল। কেন ভুলভাল বই রচনা করা হবে? কেন প্রতিবছর বই সংশোধনী দেয়ার প্রয়োজন হবে?
বর্তমান কারিকুলামে পাঠ্যপুস্তক লেখার মধ্যে উদাসীনতা স্পষ্টতর। প্রতি বছর পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা করে লেখকদের ও এনসিটিবিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। বছর দুই এক আগে চীনে প্রাথমিক স্তরের চতুর্থ শ্রেণির গণিত বইয়ে একটি চিত্রে বাচ্চার আইব্রো আঁকতে ভুল করেছিল। সেই ভুলের খেসারত হিসেবে সরকার বইটির প্রধান সম্পাদককে ওই পদ থেকে শুধু অব্যাহত করেনি, চিত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সহ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৭ সদস্যকে শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল।
অথচ আমাদের দেশে পাঠ্যপুস্তকে ভুল, কুম্ভিলকবৃত্তির মতো ঘটনা কত সহজেই মেনে নেয়া হয়। শুধু চীন নয়, আরও অনেক দেশে পাঠ্যপুস্তকে ভুলভ্রান্তির কারণে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি পেতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থা আদৌ কি আছে?
পাঠ্যপুস্তকে কুম্ভিলকবৃত্তি যে বড় ধরনের অপরাধ তার বোধগম্যতা আমাদের থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে পাঠ্যপুস্তকের তথ্যই সারাবিশ্বে নিরেট তথ্যের উৎস হিসেবে ধরা হয়। পাঠ্যপুস্তকে এমন কোনো ভুলভ্রান্তি থাকা উচিত নয় যা পড়ে বাচ্চারা হাজার হাজার ভুল জিনিস শিখবে। সরকারের উচিত হবে শিক্ষা খাতে বেশি গুরুত্ব দেয়া। আমরা চাই মানসম্মত পুস্তক; যা পড়ে বাচ্চারা বিশ্বমঞ্চের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমেনা আক্তার পুষ্পা
শিক্ষার্থী, রাঙামাটি সরকারি কলেজ