মানসম্মত শিশুসেবা সমন্বিত বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

অনেক ছোট শিশু যারা বাড়িতেই ছিল, তারা তাদের সুস্থ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খেলা ও প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তার সুযোগ পায় না। নিন্ম ও মধ্যম আয়ের ৫৪টি দেশের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সি প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু পরিবারের বড় কারও কাছ থেকে সামাজিক সংবেদনশীলতা ও জ্ঞানভিত্তিক উদ্দীপনা পাচ্ছিল না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুসেবা ও প্রারম্ভিক শিক্ষাজনিত বিকল্পের অভাবেও অনেক বাবা-মাকে, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করা মায়েদের অনেককেই তাদের ছোট শিশুটিকে নিজ কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসতে হয়। তা ছাড়া তাদের সামনে কোনো বিকল্প থাকে না। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাত নারী অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এবং কোনো ধরনের সামাজিক সুরক্ষা সেবা পায় না, বা অত্যন্ত সীমিত আকারে পায়। অনেক বাবা-মা এই অনির্ভরযোগ্য, স্বল্প বেতনের চাকরিতে আটকা পড়ে যায়, যা কয়েক প্রজন্মের মধ্যে দারিদ্র্যের একটি চক্র গড়ে তুলতে অবদান রাখে।

সাশ্রয়ী ও মানসম্মত শিশুসেবা এবং প্রারম্ভিক শৈশবকালীন শিক্ষা প্রাপ্তির সুযোগ পরিবার ও সামাজিকভাবে সমন্বিত সমাজগুলোর বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফ শিশুদের জন্মের পর থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের প্রথম গ্রেডে তাদের প্রবেশের আগ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন শিশুসেবা প্রাপ্তির পক্ষে কাজ করে।

সরকার ও কর্মীরা কীভাবে তাদের শিশুসেবা এবং প্রারম্ভিক শিশু শিক্ষার নীতিমালার উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সে বিষয়ে নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। পরিবারের অবস্থা নির্বিশেষে সব শিশুই যেন উচ্চ-মানসম্পন্ন, বয়স-উপযোগী, সাশ্রয়ী ও সহজে পাওয়া যায় এমন শিশুসেবা কেন্দ্রে সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ পায়, সে বিষয়েও নির্দেশনা থাকতে হবে।

নির্দেশনায় পরিবারবান্ধব নীতিমালার আরও কিছু রূপরেখা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেÑএক. সব বাবা-মায়ের জন্য সবেতন মাতৃত্ব বা পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা, যাতে মাতৃত্ব বা পিতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হওয়া ও সাশ্রয়ী শিশুসেবা শুরু হওয়ার মধ্যে কোনো ফাঁক না থাকে; দুই. কর্মজীবী বাবা-মায়ের জন্য প্রয়োজন অনুসারে নমনীয় বা সুবিধাজনক কাজের ব্যবস্থা করা; তিন. প্রশিক্ষণসহ অপারিবারিক শিশুসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের পেছনে বিনিয়োগ করা; চার. নগদ অর্থ প্রদানসহ সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাসমূহ, যা অনানুষ্ঠানিকভাবে খাতে কর্মরত পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছায়।

ফোর বলেন, কভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী শিশুসেবা সংকটকে আরও খারাপ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই দুর্যোগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পরিবাগুলোর জন্য সরকারের ও চাকরিদাতাদের সহায়তা প্রয়োজন।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০