নিজস্ব প্রতিবেদক: শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতা পারে নারীকে এগিয়ে নিতে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তি থাকলে নারী উৎফুল্লভাবে কাজ করতে পারে। সেজন্য কর্মক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে নারীকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। নারী মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনা পাবে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখতে পারবে। সেজন্য উন্নয়নের স্রোতধারায় আনতে হলে নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আইবিএ অ্যালামনাই ক্লাবে শ্রমজীবী নারীদের নিয়ে ‘কর্ম পরিবেশ ও নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েন্ড) এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে জি-৪ সিকিউর সল্যুশন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এইচএম রাসেল ও জাতীয় মানসিক হাসপাতালের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহেলা আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ওয়েন্ডের প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. সোহেলা আহমেদ।
বক্তারা বলেন, একজন কর্মজীবী নারী পরিবারের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে তার কর্মক্ষেত্রে। কর্মক্ষেত্রে নারী উৎফুল্ল থাকলে প্রতিষ্ঠানকে বেশি কাজ দিতে পারবে। এতে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। সেক্ষেত্রে শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, নারীকেও ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানকে বুঝতে হবে অতিরিক্ত কাজ নারীর স্বাস্থ্যের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। নারীর মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হলে হƒদরোগসহ অন্যান্য রোগ দেখা দিতে পারে।
ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, একসময় কর্মীরা ১৬ ঘণ্টা কাজ করত। অনেক আন্দোলনের ফলে আজ আমরা তা আট ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পেরেছি। সচেতনতা বেড়েছে। বেড়েছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান। এখন সময় এসেছে নারীদের কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর মানসিক শান্তি এখন অধিকার।
মানসিক সুস্থতা নারীকে কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনা জোগাবে
