নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার মানসিক হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দ সরকারি ৮৮ লাখ ৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ে বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাসপাতালটির সাবেক পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস, পাবনার সাবেক জেলা মার্কেটিং অফিসার (বর্তমানে দিনাজপুরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা) হুমায়ুন কবির ও তিন ঠিকাদার এসব মামলার আসামি।
দুদকের সহকারী পরিচালক শহীদুল আলম সরকার সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনায় মামলাগুলো দায়ের করেছেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ছয়টি মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/৩৪ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ‘ক’ গ্রুপে রেশন দ্রব্যাদি অর্থাৎ চাল, ডাল, মসলা, তেল, পাউরুটি, দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি প্রভৃতি সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ‘খ’ গ্রুপে খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছ ও ডিম প্রভৃতি সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ‘গ’ গ্রুপে তরিতরকারি, শাকসবজি ও ফলমূল প্রভৃতি সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
১১ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. তš§য় প্রকাশ বিশ্বাস, পাবনার সাবেক জেলা মার্কেটিং অফিসার হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার এ এইচ এম রেজাউন মিলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ‘ক’ গ্রুপের পণ্য সামগ্রীর মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।
১২ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার এ এইচ এম আরেফিন মিলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ‘খ’ গ্রুপের পণ্য সামগ্রীর মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৬০৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।
১৩ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. তš§য় প্রকাশ বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির ও রোজ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর এ এইচ এম ফয়সাল মিলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ‘গ’ গ্রুপের পথ্য সামগ্রীর মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
১৪ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. তš§য় প্রকাশ বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির ও রোজ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর এ এইচ এম ফয়সাল মিলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘ক’ গ্রুপের পথ্য সামগ্রীর মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ২১ লাখ ৫২ হাজার ৯২৮ টাকা আত্মসাৎ করেন।
১৫ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার এ এইচ এম রেজাউন পরস্পর যোগসাজশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘খ’ গ্রুপের পথ্য সামগ্রীর মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ১৬ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. তš§য় প্রকাশ বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার এইচ এম আরেফিন পরস্পর যোগসাজশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘গ’ গ্রুপের পথ্য সামগ্রীর মূল্য প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ৭ লাখ ৩ হাজার ৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।