মানহীন পানি বিক্রিতে আট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিজম্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় পদ্মা রিফাইনড ড্রিংকিং ওয়াটার লাইসেন্স গ্রহণ না করেও বিএসটিআই’র মানচিহ্ন ব্যবহার করে পানি বিক্রি করে আসছিল। গতকাল ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কারখানার ব্যবস্থাপককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে থাকা ১৫০টি অবৈধ পানির জার ধ্বংস করা হয়।

গতকাল বিএসটিআই’র উদ্যোগে ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমন্বয়ে উত্তরায় ভেজালবিরোধী একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। এতে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও একজনের বিরুদ্ধে মামলাসহ জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া আভিযানে ৮৯৯টি অবৈধ পানির জার ধ্বংস করা হয়।

জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণ না করেও অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটির মানচিহ্ন ব্যবহার করে আসছে। এতে পানির গুণগত মান যাচাই হয়নি, যাতে ক্রেতাসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের জন্য হানিকর মানহীন ড্রিংকিং ওয়াটার বিক্রি করছে। অভিযানে ৮টি প্রতিষ্ঠানে থাকা ৮৯৯টি অবৈধ পানির জার ধ্বংসের নির্দেশ দেন ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুন নবী তালুকদার।  অভিযানে বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক রিয়াজুল হক ও কেএম হানিফ উপস্থিত ছিলেন।

বিএসটিআই জানায়, অভিযানে একই ধরনের অভিযোগে প্রাইমল ফুডস অ্যান্ড ড্রিংক লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা ও ৮৪টি অবৈধ পানির জার ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যদিকে মাহা ড্রিংকিং ওয়াটার নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকেও ৫০ হাজার টাকা ও ৬৫টি পানির জার ধ্বংস করা হয়েছে।

রাজধানীতে অসংখ্য পানি বাজারজাতকারী অবৈধ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিবছরই বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব নকল ও নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানকে সিলগালাসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। তারপরেও গরম এলেই যখন প্রতিটি মানুষ পানির জন্য এসব জারের পানিকে ভরসা করতে থাকে, তখন নকল আর নিম্নমানের কারখানায় জারে যেনতেন উপায়ে পানি ঢুকিয়ে বাজারজাতের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবেও বারবার এমন সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০