হাসান শিকদার, মানিকগঞ্জ:মানিকগঞ্জ শহরে বাসস্ট্যান্ড-জয়রা রোডের প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন স্থানে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় গাড়িচালক, সাধারণ জনগণ এবং সদরসহ প্রায় দুটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষকে।
সম্প্রতি শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ যাওয়ার প্রবেশমুখে এমন দৃশ্য নিত্যদিন দেখা দেখা যায়। এছাড়া রাস্তার দুই পাশে সিএনজি ও হ্যালোবাইকের স্ট্যান্ড থাকায় ছোট-বড় যানবাহনের জন্য লেগে থাকে বিশাল জ্যাম। একদিকে জ্যাম, অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে মহা ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।
জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার প্রধান রাস্তাও এই জয়রা সড়ক। প্রতিদিনই এই হাসপাতালে হাজার হাজার রোগীর ভিড় হয়, ফলে তুলনামূলকভাবে আগের থেকে বর্তমানে এই সড়কটি আরও অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি মানিকগঞ্জ সদরের বেশ কিছু এলাকা ও পার্শ্ববর্তী সাটুরিয়া উপজেলা ও টাঙ্গাইল জেলারও অসংখ্য মানুষ যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ২০২০ সালের ২২ আগস্ট রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এমপি। রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির দিনে মহা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানান
স্থানীয়রা।
স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতা মেহেদি হাসান বলেন, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে থেকে হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা ধরে নানা জায়গায় যাতায়াত করে, তবে বৃষ্টি হলেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই পানি জমে থাকে রাস্তায়। এতে রাস্তায় চলাচল করতে গেলে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। রাস্তার পাশেই একটি দোকানের গাড়ির পার্টস বিক্রেতা জুবায়ের রহমান বলেন, পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই রাস্তার দুপাশে কাদা ও পানি জমে থাকে। যেহেতু শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, তাই রাস্তায় যদি ড্রেনের ব্যবস্থা করা থাকত তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাস্তার দুপাশে দোকান থাকার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এটি যেহেতু জনদুর্ভোগের কারণ হয়েছে, তাই সামনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।