মানি লন্ডারিং-সংক্রান্ত সব অপরাধের তদন্ত করতে পারবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুদ্রা পাচার, জালিয়াতি ও প্রতারণা-সংক্রান্ত অপরাধ থেকে উদ্ভূত মানি লন্ডারিং-সংক্রান্ত সব অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সংস্থাটির কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।

দুদক কমিশনার বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়েছে, তফসিলভুক্ত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে দুদক। আগে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী-সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুসন্ধান করতে পারত সংস্থাটি। এখন থেকে সব অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার সুযোগ পাবে দুদক। কমিশন থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ২৭টি অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারত দুদক। ২০১৭ সালে এ বিষয়ে মামলা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ আছে। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আরেকটি মামলার পরিপ্রেক্ষিত হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। আপনারা হয়তো বলবেন, মানি লন্ডারিং বিষয়ে পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করা হয়েছে। হাইকোর্ট তার আদেশে সেটাও বলেছেন। আর সংবিধানের ১১১ ও ১১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দুদককে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতেই হবে। আমরা মানতে বাধ্য।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সব ধরনের অর্থপাচারের অপরাধ তদন্তের সুযোগ রেখে আইনের সংশোধন চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয় দুদক। যদিও এখন পর্যন্ত ওই চিঠির জবাব পাওয়া যায়নি।

২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থপাচারসহ সম্পৃক্ত সব অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তের একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে ২০১৫ সালে আইনটি সংশোধন করে ২৭টি অপরাধের মধ্যে কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে উদ্ভূত মানি লন্ডারিং অপরাধ দুদকের আওতায় রাখা হয়। এর ফলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা পাচার, জালিয়াতি ও প্রতারণা-সংক্রান্ত অপরাধ থেকে উদ্ভূত মানি লন্ডারিং-সংক্রান্ত অন্য সব অপরাধ দুদকের এখতিয়ারের বাইরে চলে যায়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০