Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 7:42 am

মামলা প্রত্যাহারে সাত দিনের আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানির আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, হামলার ঘটনার সময়কার ভিডিও দেখে ‘প্রকৃত আসামিদের’ চিহ্নিত করতে হবে। এ সময় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিও জানান।
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক দাবিতে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ সময় আন্দোলনের নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান নুরুল হক।
গত ৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারি বিভিন্ন চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এসব ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরে ১১ এপ্রিল সারা দেশে আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ করা হয়। বর্জন করা হয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষা। সেদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা পদ্ধতি রাখা হবে না বলে জানান। এর পরদিন আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, মুহম্মদ রাশেদ খানসহ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে রগ কাটার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ২৬ শিক্ষার্থীর নামও শৃঙ্খলা কমিটিতে জমা দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।