মায়ের দুধ শিশুদের মেধা ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক

মা যখন শিশুকে বুকের দুধ পান করানো শুরু করেন তখন তাদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। শিশুকে বুকের দুধ পান করানো মায়েরা তুলনামূলকভাবে কম হতাশায় ভোগেন।

মায়ের বুকের দুধ পান করা শিশুর অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান থাকে। ফলে চর্বি জমার ক্ষেত্রে এই ভালো ব্যাকটেরিয়া ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

বুকের দুধ পান করা শিশুদের মেধা ও বুদ্ধির বিকাশ বাইরের খাবার খাওয়ানো শিশুদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হয়। মায়ের দুধের ডিএইচএ উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ আরও উন্নত করে।

বুকের দুধে যেসব এনজাইম থাকে, তা শিশুর হজমে উন্নতি ঘটায়। বেশিরভাগ মা তাদের শিশুদের জন্য গরুর দুধকে আদর্শ খাদ্য মনে করেন। কিন্তু গরুর দুধে বিদ্যমান প্রোটিন শিশুর হজমকাজে গোলমাল করার জন্য দায়ী। তাই হজমে সহায়তা, এসিড রিফ্ল্যাক্স ও পেট খারাপ হওয়া এড়াতে মায়ের বুকের দুধ জাদুকরী জিনিস হিসেবে সাহায্য করে।

জাপানের পুষ্টি গবেষণায় জানা গেছে, যেসব মা তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করান তাদের পোস্ট মেনোপজাল অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কম থাকে। যখন একজন মা তার শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তখন শিশু আরও দ্রুত ক্যালসিয়াম শোষণ করে। এভাবে মায়ের দুধ শিশুর দেহের হাড় মজবুত ও হাড়ের সুস্থ গঠনে সাহায্য করে।

১২ মাসের বেশি সময় ধরে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর ফলে ৭০-৭৫ শতাংশ স্তন ও ওভারিয়ান ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

মায়ের দেহ অক্সিটোসিন হরমোন উৎপাদন করে, যা জরায়ুকে গর্ভাবস্থার আগের আকারে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ক্যালরি খরচ হয়। ফলে অতিরিক্ত ওজন কমে এবং প্রসবোত্তর বিষণœতা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাই জšে§র পর ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান।

সিরাজাম মুনিরা

ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট

ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০