Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 10:04 pm

মারধরের মামলায় ইরফানের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ‘মারধরের’ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

এ মামলায় জামিন পাওয়ায় ইরফান সেলিমের কারামুক্তিতে আর বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা পরে বলেন, ‘তিনি দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আজকে হাইকোর্ট এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন। আজকের জামিন আদেশের অনুলিপি পেলেই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

গত ২৭ জানুয়ারি এ মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে।

গত বছর ২৪ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডি এলাকায় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।

হাজি সেলিমের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, ওই গাড়িতে থাকা সেলিমের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও তিনজনকে আসামি করা হয় সেখানে।

পরদিন ২৫ অক্টোবর পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায় র‌্যাব। আটক করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে।

ওই ভবন থেকে দুটি অবৈধ পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া, বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করার কথা সে সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মদ আর ওয়াকিটকির জন্য ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে তাৎক্ষণিক ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হয়। অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকেও বরখাস্ত হন তিনি। পরে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে ইরফান সেলিমকে মাদক ও অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। তবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ‘মারধরের’ মামলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইরফানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।