আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোল পুরোপুরি দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, তাদের সৈন্যরা ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান এই বন্দরনগরীর শহুরে এলাকা দখলে নিয়েছে। তবে সেখানকার একটি ইস্পাত কারখানার ভেতরে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের একটি ছোট দল এখনও রয়ে গেছে। আর ইউক্রেনীয় সৈন্যদের এই দলটিকে আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম দিয়েছে মস্কো। আল্টিমেটাম মেনে নিলে আত্মসমর্পণ করা সেনাদের জীবন রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি।
রোববার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
তবে মারিউপোলকে দখলে নেয়ার রুশ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি আলজাজিরা। তারা বলছে, বাস্তবিক অর্থেই শহরটি মস্কোর দখলে চলে গেলে তা হবে রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের প্রথম বড় কোনো শহরের পতন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেছেন, ‘মারিউপোলের পুরো শহুরে এলাকাটি সম্পূর্ণরূপে দখলে নেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অবশিষ্ট একটি অংশ বর্তমানে আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।’
ইউক্রেনীয় এই যোদ্ধাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, ‘তাদের (আটকে পড়া ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের) জীবন বাঁচানোর একমাত্র সুযোগ হলো স্বেচ্ছায় অস্ত্র ফেলে দেওয়া এবং আত্মসমর্পণ করা।’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘মারিউপোলকে স্বাধীন করার অভিযানে’ ইতোমধ্যেই এক হাজার ৪৬৪ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।
এদিকে রুশ বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, মারিউপোলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা থেকে যেসব ইউক্রেনীয় যোদ্ধা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবন রক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মারিউপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত।