শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরও ইরান থেকে তেল কিনবে ভারত। এছাড়া দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে জারিফ এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স।
চীনের পর ভারত হচ্ছে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তেল সরবরাহকারী দেশ। তবে সম্প্রতি ভারত ইরান থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরোপুরি বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর ভারতে তেল সরবরাহকারী দেশের মধ্যে ইরান তৃতীয়।
তিনি বলেন, আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য অনুযায়ী ইরান থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে সবসময়ই নিরপেক্ষ থাকবেন। এছাড়াও ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা আগামী ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ইরানের তেল রফতানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কোনো দেশ না মানলে ‘কঠোর পরিণতি ভোগ করবে’ বলে নিরাপত্তা পরিষদে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে ইইউ ইরানকে এতে টিকে থাকার আহ্বান জানায়। ইরান ইউরোপের ওই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে তেহরানের যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা বাকি পাঁচ দেশকে পুষিয়ে দিতে হবে। তা না হলে ইরানের পক্ষে এ সমঝোতায় টিকে থাকা সম্ভব হবে না। মূলত ইরানের সে দাবি মেনে নিতেই বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছে ইউরোপসহ পাঁচ জাতিগোষ্ঠী।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করবে। চুক্তি করার পরই এ দেশগুলোর তেল কোম্পানি এবং অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু নভেম্বর মাস থেকে ইরানের ওপর মার্কিন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নতুন করে কার্যকর হচ্ছে। এর ফলে কেউ ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করলে যুক্তরাষ্ট্রের দরজা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে, তা যেন না হয়, সে জন্যই একটা পথ বের করার চেষ্টা চলছে। এখন কারিগরি বিশেষজ্ঞরা অর্থ পরিশোধের উপায়গুলো নিয়ে আরও আলোচনা করবেন।