শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কে চলতি বছর জার্মানির ক্ষতি হবে প্রায় দুই হাজার কোটি ইউরো বা দুই হাজার ৩৪৪ লাখ ডলার। দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএমকের বিশ্লেষকরা এ পূর্বাভাস দিয়েছেন। গত শনিবার জার্মানির ব্যবসায়ী নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, মার্কিন শুল্কারোপে যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি হবে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ জাঙ্কার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠককে সামনে রেখে তারা এ হুশিয়ারি দিলেন। খবর রয়টার্স।
ইইউ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা গত ১ জুন কার্যকর হয়েছে। এছাড়া ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন ইইউ থেকে আমদানি করা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপরও শুল্কারোপ করবেন তিনি।
স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনকে আইএমকের পরিচালক গুস্তাব হর্ন বলেন, ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কে চলতি বছর জার্মানির প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হবে। ট্রাম্পের এ নীতির আগে জার্মানির রফতানি প্রবৃদ্ধিতেই ছিল। তিনি বলেন, রফতানি প্রবৃদ্ধি হলে বিনিয়োগ বাড়ে এবং বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ে। কিন্তু এখন আর সম্ভব নয়। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে রফতানি কমবে। এতে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে, যা কর্মসংস্থানও কমাবে।
আগামী বুধবার জাঙ্কার ও ট্রাম্প বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বৈঠক সামনে রেখে জার্মানির বিডিআই ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ডায়েটার কেম্প বলেন, আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে। জাতীয় নিরাপত্তার সুরক্ষার কথা বলে ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাতিল করা উচিত। তিনি বলেন, আসন্ন বৈঠকে জাঙ্কারের উচিত হবে ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই যে ক্ষতি তা স্পষ্ট করা।
কেম্প বলেন, জার্মানির গাড়িশিল্পে যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ ১৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান। উৎপাদিত গাড়ির ৬০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদেশে রফতানি হয়। তাই শুল্কারোপে যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি হবে।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২৫ ও ১০ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় গত জুনে হুইস্কি, মোটরসাইকেল, জুতা, কয়েক ধরনের কাপড়, ওয়াশিং মেশিন ও কমলার রসসহ বেশকিছু পণ্যে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে ইইউ। জোটের ২৮টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি করা প্রায় ৩২০ কোটি মূল্যের পণ্য থেকে এই শুল্ক নিচ্ছে ইউরোপ।
