শেয়ার বিজ ডেস্ক: রকেট ও স্যাটেলাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স বৃহস্পতিবার মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের (এনএলআরবি) বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর আগে এজেন্সিটি স্পেসএক্সের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কর্মচারীদের বরখাস্ত করার অভিযোগ এনে কোম্পানির নির্বাহীদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এ চিঠিতে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে ‘বিভ্রান্ত’ ও ‘হতবুদ্ধিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
টেক্সাসের ব্রাউনসভিলে ফেডারেল আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় স্পেসএক্স দাবি করেছে, কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জারি করা ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের (এনএলআরবি) কাঠামো মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করে।
এনএলআরবি অভিযোগ করেছে, স্পেসএক্স ফেডারেল শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে। কোম্পানিটি ২০২২ সালে আট কর্মীকে বরখাস্ত করে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করার জন্য, যাতে মাস্ককে যৌনতাবাদী বলে মন্তব্য করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা কোম্পানির নীতিবিরুদ্ধ। সেই মামলার শুনানি হবে প্রথমে একজন প্রশাসনিক বিচারক এবং পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের বোর্ডের সামনে। বোর্ডের সিদ্ধান্তগুলো ফেডারেল আদালতে আপিল করা যেতে পারে।
স্পেসএক্স মামলায় দাবি করেছে, যেহেতু ফেডারেল আইন বোর্ড সদস্য ও প্রশাসনিক বিচারকদের অপসারণ করার অনুমতি দেয় শুধু নির্দিষ্ট কারণের পরিপ্রেক্ষিতে, ইচ্ছামতো নয়, তাই এনএলআরবির কাঠামো অসাংবিধানিক। মূলত এনএলআরবির অভিযোগটি যাতে এগোতে না পারে, সেজন্যই এ মামলাটি দেয়া হয়েছে। এনএলআরবির একজন মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্পেসএক্স সম্প্রতি মার্কিন বিচার বিভাগের একটি প্রশাসনিক মামলাকে আটকানোর জন্য একই কৌশল ব্যবহার করেছে। কোম্পানিটি দাবি করেছে, সংস্থাটি অবৈধভাবে শরণার্থী ও আশ্রয় প্রাপকদের নিয়োগ দিতে অস্বীকার করেছে।
ব্রাউনসভিলের একজন ফেডারেল বিচারক নভেম্বরে স্পেসএক্সের প্রশাসনিক মামলাটির বিরতি দিয়েছিলেন। এতে স্পেসএক্সের দায়ের করা মামলার ফলাফলও ঝুলে যায়। বিচারক বলেছিলেন, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, বিচার বিভাগের প্রশাসনিক বিচারকদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল নয়, যেমনটা বর্তমানে দেয়া হচ্ছে।
এনএলআরবি এরই মধ্যে একজন স্টারবাকস কর্মচারীর কাছ থেকে একই রকম একটি মামলার মুখোমুখি হয়েছে। এই কর্মচারী নিউইয়র্কের যে স্টোরে কাজ করেন, সেটির ইউনিয়ন করার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি ইউনিয়ন ভেঙে দেয়ার জন্য নির্বাচনের আবেদন করেছিলেন। এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় অক্টোবরে বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই কর্মচারী। সংস্থাটি সেই মামলায় সাড়া দেয়নি।