ফাইভজির বাণিজ্যিকীকরণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত হয়েছে হুয়াওয়ে। স্পেনের বার্সেলোনা জিটিআইয়ে অনুষ্ঠিত জিটিআই অ্যাওয়ার্ডসে ‘মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ফাইভজির প্রযুক্তিগত পরীক্ষা ও প্রাক-বাণিজ্যিক যাচাইকরণ শুরু হয়। ফাইভজি প্রযুক্তি ও স্ট্যান্ডার্ডগুলোয় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে হুয়াওয়ে থ্রিজিপিপি স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে ফাইভজি প্রাক-বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক সল্যুশনও বাজারে এনেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কোর ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক, ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক, ফাইভজি ল্যাম্পসাইট ও ফাইভজি সিপিই। প্রতিষ্ঠানটি হাংঝু, শেনজেন, সিউল, মিলান ও বার্লিনে ফাইভজির জন্য ট্রায়াল নেটওয়ার্ক ও নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেত্র চালু করেছে। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় প্রযুক্তি শিল্পে এগিয়ে রয়েছে হুয়াওয়ে।
ফাইভজির বাণিজ্যিকীকরণে এখন পর্যন্ত হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৫০টির বেশি ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব করেছে, যা সংখ্যার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। এছাড়া ফাইভজির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক চুক্তিও (৩০+) স্বাক্ষর করেছে তারা। উপরন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার ফাইভজি বেইজড স্টেশন হস্তান্তর করেছে। চীনের হাংঝু ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের মতো শহরে হুয়াওয়ে ১ জিবিপিএস গড় গতিসম্পন্ন ফাইভজি ম্যাসিভ মিমো কভারেজ নিশ্চিত করতে কয়েক হাজার সাইট স্থাপন করছে, যা ভবিষ্যতে বিশাল ব্যান্ডউইথ ও লো ল্যাটেন্সি পরিষেবার জন্য ভিত্তিস্বরূপ।
২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক প্রাক-বাণিজ্যিক পরীক্ষা চলবে। জিটিআই ও হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সঙ্গে ফাইভজির উন্নয়ন ও প্রসারে কাজ করবে।
হুয়াওয়ে: হুয়াওয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই হুয়াওয়ের উদ্দেশ্য। গ্রাহককেন্দ্রিক নতুনত্ব ও উম্মক্ত অংশীদারিত্বের দ্বারা পরিচালিত হয়ে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সমাধান পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইসসহ ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিধা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে।
