নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ১৭ মাসের তুলনায় চলতি বছর মার্চে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে মূল্যস্ফীতি। শতাংশের হারে তা ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে টানা ছয় মাস বাড়ার পর জানুয়ারিতে কমেছিল এই সূচক। ফেব্রুয়ারিতে তা আবার বাড়ছে। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করে সেখানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
মার্চে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে বেশি ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে; গ্রামে মূল্যম্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর শহরে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের চেয়ে গ্রামীণ এলাকায় পণ্যমূল্য বেড়েছে বেশি।
বিবিএসের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, দেড় বছর পর গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে ওঠে। তবে চলতি বছর জানুয়ারিতে তা কমে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশে নেমে আসে।
২০২০ সালের জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এরপর থেকে গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে অবস্থান করছিল।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, মার্চে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ২২ শতাংশের যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তার মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
মার্চে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে; এ মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মার্চে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, মার্চে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
