মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গত মার্চে এক লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার রেকর্ড লেনদেন হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০২২ সালের এপ্রিলে। সেই মাসে লেনদেন হয় এক লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, এক মাসে এত লেনদেন এর আগে কখনও হয়নি। দ্রুত শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহক সংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। লেনদেনের সীমা বাড়ানোর ফলে রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দিচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩ জনে। এর মধ্যে গ্রামে ১১ কোটি ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭১ জন এবং শহরে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১২ জন গ্রাহক নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার এবং নারী গ্রাহক ৮ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার জনে।

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানোয় সীমাবদ্ধ নেই। বরং এর মাধ্যমে দৈনন্দিন কেনাকাটা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ এবং মোবাইল ফোনে রিচার্জসহ নানা ধরনের সেবা মিলছে। রাজধানী ও জেলা শহরে গাড়িচালক ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। শ্রমজীবীরাও এখন এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন।

এমএফএস মাধ্যমে গেল মার্চে মোট ৪৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৫টি লেনদেনের মাধ্যমে এক লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মার্চে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোয় জমা পড়েছে (ক্যাশইন) ৩৪ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। এ সময়ে তোলা হয়েছে (ক্যাশ আউট) ৩০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ৩১ হাজার ৫০৭

কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে দুই হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। কেনাকাটার জন্য চার হাজার ১১৪ কোটি টাকার বিলও পরিশোধ হয় এ মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ?্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং বাজারের সিংহভাগ বিকাশের দখলে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০