নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে আগামী মার্চ মাস থেকে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য ভারত থেকে ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে। গতকাল আদানি পাওয়ার লিমিটেড, ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন ১৬০০ (৮০০ মেগাওয়াট করে ২ ইউনিট) মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চের মাঝামাঝি পাওয়া যেতে পারে। আগামী গ্রীষ্মের চাহিদাপূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জ্বালানির বিকল্প উৎসও আমরা খুঁজছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি।
উল্লেখ্য, দেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট সই হয় ২০১১ সালে। ওই চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর আদানির সঙ্গে ক্রয়চুক্তি সই হয়।
চুক্তি অনুসারে আগামী ২৫ বছর এ কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৮৯ পয়সা দরে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ কিনতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৫ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট। যদিও সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট।
ডেডিকেটেড সঞ্চালনলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাব-স্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন কাজ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) নির্মাণ করেছে।
উত্তরায় নির্মাণ হচ্ছে আইকনিক এক্সপেরিয়েন্স মল ‘রূপায়ণ ম্যাক্সাস’
রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণ হচ্ছে আইকনিক এক্সপেরিয়েন্স মল ‘রূপায়ণ ম্যাক্সাস’। গতকাল রূপায়ণ সিটি উত্তরায় নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে এমন মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্থপতি বাংলাদেশের গর্ব মুস্তাফা খালিদ পলাশ।
তিনি বলেন, উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর ঘেঁষে সোনারগাঁও জনপথসংলগ্ন এবং মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মাত্র এক দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে রূপায়ণ সিটি উত্তরা। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই আইকনিক এক্সপেরিয়েন্স মল।
পরিদর্শনের সময় রূপায়ণ সিটি উত্তরার সভাকক্ষে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রূপায়ণ সিটির পক্ষ থেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিইও এম মাহবুবুর রহমান, নির্মাণ উপদেষ্টা আহসান হাবিব, পরিচালক সালাহ উদ্দিন, রেজাউল হক লিমনসহ সব বিভাগীয় প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি