Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 7:15 pm

মার্চ থেকে ফের শুরু হচ্ছে ১০ টাকা কেজির চাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী মাস থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি আবার শুরু হচ্ছে। খাদ্যবান্ধব শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এ পাঁচ মাস ১০ টাকা কেজিতে চাল পান দরিদ্ররা।

খাদ্য অধিদফতরে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছি। চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম আবার শুরু হবে এবং ভবিষ্যতেও তা চলবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মসূচি শুরুর পর বিত্তবানদের নামে ১০ টাকা চালের কার্ড বিতরণের অভিযোগের পাশাপাশি নানা অনিয়মে বেশ কয়েক জনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচিতে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, চাল বিতরণ কার্যক্রমে কোনো ধরনের অসদুপায় বা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বছরে সাড়ে সাত হাজার টন চাল লাগবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৪ লাখ ২০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ লাখ ৪০ হাজার টন চাল এবং তিন লাখ ৮০ টন গম। এ সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ১৬ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ হয়ে যাবে।

সূত্রমতে, চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে, বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে হাওর অঞ্চলে হঠাৎ বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার কথা থাকলেও সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম মাত্র আড়াই লাখ টন। তখন সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ এক লাখ ৩০ হাজার টনে নেমে এসেছিল। চালের একটি চরম সংকট দেখা দিয়েছিল।’

তবে কৃষকদের কথা বিবেচনায় রেখে চালের কেজি ৪০ টাকার নিচে হওয়া উচিত নয় বলেও মত দেন মন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য সচিব শাহবুদ্দিন আহমদ, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান ছাড়াও খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।