Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:09 pm

মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আংশিক ক্লাশ, হচ্ছে না বই উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক: জানুয়ারি মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও আগের মতো আংশিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করানো হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। পাশাপাশি করোনা মহামারির কারনে এবারেও শিক্ষার্থীদের বই উৎসব হবে না। স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ ভাগ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে। বাকিগুলো যাবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কাজই কোনো শিক্ষার্থী সময়ের মধ্যে বই পাবে না, এমনটি নয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতুয়াইল মৌসুমী প্রিন্টিং প্রেস পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মার্চ মাসের পর স্বাভাবিক শ্রেণি পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে। মার্চের আগ পর্যন্ত আমরা বিষয়টি মনিটরিং করবো।’

দীপু মনি বলেন, ‘আগামী বছর থেকে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং কার্যক্রম হিসেবে নতুন কারিকুলাম শুরু করা হবে। এজন্য সারাদেশের ১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো সম্ভব নয়। এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হবে। নতুন কারিকুলামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও ভৌগোলিক সব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রেস ঘুরে দেখলাম। মান ঠিক আছে বলে মনে হলো। এছাড়া এনসিটিবি থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রেস পরিদর্শন করা হয়। ১৫৮টি প্রেসে মাধ্যমিক ও ৪২টি প্রেসে প্রাথমিকের বই তৈরির কাজ চলছে। আমরা মান ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। কেউ সঠিক মান না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বইয়ে বিতর্কিত বিষয় ও ভুলভ্রান্তি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের সমস্যাগুলো সংশোধন করা হয়েছে। তার মানে এই নয় এবার ভুল থাকবে না। আমরা আরও অনেক বেশি যত্নশীল হয়েছি। তারপরও ভুল পাওয়া গেলে আমরা সংশোধন করে নেব।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী মাতুয়াইলের মৌসুমী প্রেস, জনতা প্রেস ও প্রমা প্রেস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।