মার্জিন ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি

মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করাটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বাজার যখন পরে তখন মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ার ধরে রাখার ক্ষমতা বিনিয়োগকারীর থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি থাকে। যেহেতু তার ঝুঁকির পরিমাণ বেশি ছিল তাই ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার পরিমাণটিও বেশি হবে। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. ফোরকান উদ্দিন, এফসিএ এবং শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক মো. মঈন উদ্দিন।
মো. ফোরকান উদ্দিন বলেন, মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার পক্ষে আমি কখনোই না। কারণ বাজার যখন পরে তখন অবশ্যই মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ার ধরে রাখার ক্ষমতা বিনিয়োগকারীর থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি থাকে। যেহেতু তার ঝুঁকির পরিমাণ বেশি ছিল তাই ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার পরিমাণটিও বেশিই থাকে। তিনি বলেন, গত বুধবার পুঁজিবাজারের সূচক সকালের দিকে আগের দিনের থেকে ১০০ পয়েন্টের ওপরে ছিল। কিন্তু সেখান থেকে পরে ইউটার্ন নিয়ে শেষ হয় সাত পয়েন্টের মতো বেশি রেখে। আর এ ১০০ পয়েন্টে যাবার পেছনে আমি মনে করি ব্যাংক খাতের ভূমিকা বেশি ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছেÑএকদিনের জন্য ব্যাংক খাতের গতিবিধি কেন ভালো ছিল, কী উদ্দেশ্যে ছিল এবং কারা করেছিল? এতে বোঝা যাচ্ছে, এর পেছনে অবশ্যই কোনো দল কারসাজি করছে এবং বাজার যে তার স্বাভাবিক গতিতে নেই তা বোঝাই যাচ্ছে। এ জায়গাগুলোতে আমার মনে হয় অনুসন্ধান করার দরকার আছে। বর্তমানে বাজারে কিছু শেয়ার আছে যেগুলোর দর বাড়ার কোনো কারণই নেই তারপরও দর বাড়ছে ব্যাপক হারে। আর সে শেয়ারগুলো যখন অমুক ভাই বা অমুক দল কিনেছে শুনে বেশি দামে কিনছি এবং তাদের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে যদি কেউ
ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তার দায়ভার নিজেকেই নিতে হবে। আমার জানা মতে, এখন বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা খুব একটি সচল নেই। বাজারে এখন বিভিন্ন দলগুলো সচল
বেশি। আর এ দলগুলোর সঙ্গে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা এগোচ্ছে।
মো. মঈন উদ্দিন বলেন, কারও কাছে যদি অনেক ফান্ড থাকে এবং সে যদি নিয়ম মেনে শেয়ার কিনে দর বাড়ায় তাহলে তা অবশ্যই অনিয়ম নয়। কিন্তু এখানে একটি বিষয় দেখার আছে যে, আমার কাছে ফান্ড আছে কিন্তু বাজারে একটি শেয়ারের দর এমন জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করছি যা অযৌক্তিক। তখন বিষয়টি অনিয়মের মধ্যে পরে বলে মনে করি। কারণ বাজারে সবাই লাভের আশায় বিনিয়োগ করে। ফলে দেখা যায়, কেউ শেয়ারের দর বাড়াতে বাড়াতে এমন জায়গায় নিয়ে যায় যখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে ওঠে শেয়ারটির প্রতি এবং তখন সর্বোচ্চ দরে বিনিয়োগ করে সেখানে। তারপর তাদের বিনিয়োগটি ওই শেয়ারে আটকে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা বেড়িয়ে আসে। ফলে উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ যদি এমন কাজ করে তাহলে সেটি অবশ্যই অপরাধ।

শ্রুতিলিখন: রাহাতুল ইসলাম

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০