নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরে তারল্য সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি বাজারে সঠিক তথ্য প্রবাহে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য পুঁজিবাজারে মার্জিন লোনের সুদহার সংশ্লিষ্ট সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
গতকাল সোমবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিবিএর সঙ্গে বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সভায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) রিপোর্টিং ও সিসিএ থেকে পাওয়া মুনাফাসহ অন্যান্য বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়। পুঁজিবাজারের রেগুলেটরি কাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়ন, পুঁজিবাজারের যথাযথ মনিটরিং ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ, আইপিও প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন, পুঁজিবাজারের ব্যাংক অফিস সফটওয়্যার চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার প্রস্তাব দেয় ডিবিএ।
এছাড়া পুঁজিবাজারে সঠিক তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিতসহ গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, মার্জিন লোনের সুদহার সংশ্লিষ্ট সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়। পুঁজিবাজারে আরোপিত কর নীতিসম্পৃক্ত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টিসহ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রস্তাবনা উঠে এসেছে।
এদিন বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ডিবিএ’র সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতিসহ শীর্ষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, একটি সমৃদ্ধ ও সফল পুঁজিবাজার গড়তে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র সঙ্গে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব অংশীজন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমেই পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের সংস্কারের জন্য বিএসইসি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স কার্যক্রম শুরু করেছে।
সভার আলোচনায় পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কার সাধনের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে যার অবস্থান থেকে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।