Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:01 am

মালয়েশিয়ায় নিহত ছয় রোহিঙ্গা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় একটি অস্থায়ী ইমিগ্রেশন বন্দিশিবির থেকে পালানোর পর মহাসড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় ছয় রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তাদের মধ্যে দুই শিশু ও দুই নারী রয়েছেন। খবর: আল জাজিরা।

গতকাল স্থানীয় সময় ভোরে পেনাং প্রদেশের জাউয়ির কাছে নর্থ-সাউথ এক্সপ্রেসওয়েতে এ ঘটনা ঘটে। আটক কেন্দ্র থেকে ভোরের আগে সাড়ে ৪টায় ৫২৮ রোহিঙ্গা পালিয়ে যান। বন্দিশিবিরে দাঙ্গার কারণে তারা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। বন্দিশিবিরের দরজা ও নিরাপত্তা গ্রিল ভেঙে তারা পালিয়ে যান। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ২৩ নিরাপত্তাকর্মী।

পুলিশ জানায়, সুঙ্গি বাকাপ বন্দিশিবির থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ওই ছয়জন গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান।

পেনাংয়ের পুলিশপ্রধান মোহাম্মদ সুহাইলি মোহাম্মদ জাইন জানান, তাদের দুর্ঘটনায় মারা যেতে দেখে আরও ২২৯ রোহিঙ্গা একই পরিণতি হওয়ার কথা ভেবে মহাসড়কটি পার হওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। ইমিগ্রেশন আটক কেন্দ্র থেকে পালানোর পর কোথায় যাবেন, তা জানা না থাকায় তারা পরে মহাসড়কের একপাশ ধরে হাঁটতে থাকেন। রোহিঙ্গাদের দলটিকে দেখতে পেয়ে সাধারণ জনগণ পুলিশকে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের ধরতে অভিযানে নামে এবং ২২৯ জনের সবাইকে ধরে ফেলে।

সুহাইলি আরও জানান, ওই কেন্দ্রে ৬৬৪ রোহিঙ্গা ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫২৮ জন পালিয়ে যান। পুলিশ ওই মহাসড়কের পাশ থেকে ২২৯ জনকে ফের আটক করে। এর আগে গ্রামবাসী ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মীরা আটককেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও ৮৮ জনকে আটক করে।

বাকি ২০৫ জনকে ধরতেও অভিযান চলছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক মানুষ ও কয়েকটি শিশু রয়েছে। পলাতক রোহিঙ্গারা পেনাংয়েই রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের কাছে মালয়েশিয়া একটি পছন্দের গন্তব্য। তবে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয় না মালয়েশিয়া। ২০২০ সাল থেকে দেশটিতে যাওয়া হাজারো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জনাকীর্ণ বন্দিশিবিরে আটকে রাখছে দেশটির কর্তৃপক্ষ, যদিও দেশটির দাবি, কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।