মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রাক্কালে মৃত্যুদণ্ডের আসামি গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, বগুড়া: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭)। সম্প্রতি আদালত পলাতক জিয়াউর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায় জানতে পেরে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়া আগ মুহূর্তে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন জিয়াউর রহমান। র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার জিয়াউর রহমান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার শোলাগাড়ি গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। শনিবার রাতে গাজীপুর জেলার পোড়াবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ২০১১ সালের ১০ নভেম্বের জিয়াউর রহমান তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তার শ্বশুর লতিফুল বারী মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি তিন বছর চার মাস জেল খাটেন। জামিনে বের হয়ে ভারতে চলে যান এবং ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে রেশন, আধার কার্ড, আইডি কার্ড ও অন্যান্য ভারতীয় নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। সেখানে আট মাস থাকার পর ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই চলে যান। দুবাই থেকে ছয় মাস পর বাংলাদেশে ফিরে এসে গাজীপুরের সূত্রাপুর এলাকায় বিয়ে করে ছদ্মবেশে সংসার করতে থাকেন। তিনি গাজীপুরের সূত্রাপুর এলাকায় কসমেটিকস ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টে চাকরি করতেন। র‌্যাব জানায়, গত আগস্ট মাসে বগুড়ার আদালত স্ত্রী হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পলাতক জিয়াউর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

 রায় জানতে পেরে জিয়াউর রহমান গাজীপুরের ঠিকানায় বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। শনিবার রাতেই মালয়েশিয়া যাওয়ার বিমানের ফ্লাইট ছিল। এ অবস্থায় তিনি গ্রেপ্তার হন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০