শেয়ার বিজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৩ জনে। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।
দেশটির সাহেল রাজ্যের মৌরা এলাকায় গত ২৩ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। মালির সেনাবাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, সেনাসদস্যরা ২০৩ জঙ্গিকে হত্যা করেছেন। ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা। একই সঙ্গে বিপুল অস্ত্রও জব্দ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মৌরা এলাকাকে ‘সন্ত্রাসী জগৎ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সেনাবাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, মৌরা এলাকায় বেসামরিক নাগরিকসহ অনেক মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। এমন সমালোচনার পর বিবৃতি দেয় মালির সেনাবাহিনী। তারা দাবি করেছে, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতি বজায় রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
দুই কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশ মালিতে ২০১২ সালে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় হাজার সেনাসদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর বিপরীতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, মালিতে সন্ত্রাস দমনের জন্য যেসব চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে মালির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার তাদের ভূখণ্ড থেকে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার করতে বলার পর সেনাসদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০১৩ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী মোকাবিলায় মালিতে সেনা মোতায়েন করে ফ্রান্স। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও মরুভূমিতে নতুন করে সংগঠিত হয়। এরপর তারা সেনাবাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিয়মিত হামলা চালানো শুরু করে।বুরকিনা ফাসো ও নাইজার ঘিরে তৎপরতা শুরু করে তারা। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে এখনও ফ্রান্সের প্রায় চার হাজার ৩০০ সেনা রয়েছেন। তাদের মধ্যে মালিতে নিয়োজিত রয়েছেন দুই হাজার ৪০০ জন। ফ্রান্সের সেনা মোতায়েন রয়েছে চাদ, নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও মৌরিতানিয়ায়।