মালেক স্পিনিংয়ের বন্ড ইস্যু, জমি ক্রয় ও বিমা দাবি পুনরুদ্ধারের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির নতুন প্লান্টের জন্য ময়মনসিংহের ভালুকায় ৫৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৫৫ বিঘা জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মালেক স্পিনিংয়ের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি জেএম ফেব্রিকস লিমিটেডের জমি ক্রয় সিদ্ধান্ত অনুমোদনের পাশাপাশি আরেক সাবসিডিয়ারি সালেক টেক্সটাইল লিমিটেডের বিমা দাবির অর্থ পুনরুদ্ধারের অনুমোদন দিয়েছে মালেক স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানির সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে অর্থায়নের পাশাপাশি ঋণ কমানোর জন্য জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এ বন্ড ইস্যু করবে কোম্পানিটি। একইসঙ্গে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ময়মনসিংহের ভালুকায় নতুন প্লান্টের জন্য ৫৫ বিঘা বা এক হাজার ৮১৫ শতাংশ জমি কিনবে; যার মূল্য প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।

এছাড়া মালেক স্পিনিংয়ের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি জেএম ফেব্রিকস লিমিটেড ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য গাজীপুরের বাহাদুরপুরে ৯৫৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ জমি কিনবে। এতে কোম্পানিটির নিবন্ধন খরচসহ ব্যয় হবে ৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা; যা কিনা জেএম ফেব্রিকসের অভ্যন্তরীণ তহবিল থেকে পূরণ করা হবে। আর মালেক স্পিনিংয়ের আরেক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি সালেক টেক্সটাইলের ফেব্রিক ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ১৮৭ টাকার ক্ষতি হয়। আর প্রতিষ্ঠানটির বিমা দাবির বিরুদ্ধে ২১ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ১০৪ টাকায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর সালেক টেক্সটাইলের বিমা দাবি পুনরুদ্ধার বাবদ ২১ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ১০৪ টাকা চূড়ান্ত নিষ্পত্তিকে অনুমোদন দিয়েছে মালেক স্পিনিং মিলের পরিচালনা পর্ষদ।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৮ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৪৮টি শেয়ার মোট ৫৬৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।

এদিকে মালেক স্পিনিং ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৫২ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানির ১৯ কোটি ৩৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ০৫ শতাংশ শেয়ার।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৮ পয়সা (লোকসান), ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৭৪ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০