Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:49 pm

মালয়েশিয়ান দুই আইনজীবী লড়বেন রায়হানের পক্ষে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড চিকিৎসা নিয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সমালোচনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী রায়হান কবির। তার বক্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনার ঝড় বইছে। এই সময়ে রায়হানের পক্ষে মামলায় লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির দুই আইনজীবী।

এর আগে রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ড চায় দেশটির পুলিশ। আদালত ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গতকাল মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশটির আইনজীবী সুমিতা শান্তিন্নি কিশনা এবং সেলভরাজ চিনিয়াহ রায়হানের পক্ষে মামলা লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ জন্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করেছেন ওই দুই আইনজীবী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ‘আমরা রায়হানের আইনি বিষয়গুলো দেখব।’

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের চিকিৎসা নিয়ে আল জাজিরা প্রচারিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। ওই প্রতিবেদনে সরকারের সমালোচনা করে সাক্ষাৎকার দেন বাংলাদেশি প্রবাসী রায়হান কবির।

এ কারণে দুই সপ্তাহ খোঁজার পরে গ্রেপ্তার করা হয় রায়হানকে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির হামজা জয়নুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তে সহায়তা করার জন্য ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আমরা যথাযথ তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

জানা গেছে, রায়হান কবিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। তার বাবা শাহ আলম একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তোলারাম কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে মালয়েশিয়া চলে যান রায়হান।

মালয়েশিয়ার সংবাদপত্রটি জানায়, দুটি ভিন্ন ফার্মের দুুই আইনজীবী মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশকে রায়হানের আইনজীবী হিসেবে তাদের নিয়োগের বিষয়ে অবগত করেছেন। একই সঙ্গে চিঠিতে রায়হানের সঙ্গে দেখা করার তারিখ চাওয়া হয়েছে।

এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে দুই আইনজীবী বলেন, দু’একদিনের মধ্যেই আমরা রায়হানের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব।

গত ৩ জুলাই আল-জাজিরার ইংরেজি অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস মহামারিতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন রায়হান কবির।

আল জাজিরার ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকেই সাক্ষাৎকার দাতা বাংলাদেশি রায়হার কবিরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তার বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়। পরে রায়হানের ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি) বাতিল করে দেওয়া হয়।