শেয়ার বিজ ডেস্ক: টানা চার দিনের মতো গত শুক্রবার কমেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দাম। এ দিন পণ্যটির দাম এক সপ্তাহের সর্বনিন্মে চলে আসে। চলতি মাসে উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগে পণ্যটির দাম কমছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগামী জুনে সরবরাহের চুক্তিতে শুক্রবার প্রতিটন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৩৮২ রিঙ্গিত বা ৬০৮ ডলার ১২ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় এটি দশমিক তিন শতাংশ কম। লেনদেনের শুরুতে এর দাম এক দশমিক দুই শতাংশ কমে দুই হাজার ৩৮০ রিঙ্গিতে নেমেছিল। গত ১৭ এপ্রিলের পর এটিই পণ্যটির সর্বনি¤œ দর। ওইদিন সব মিলিয়ে ২৩ হাজার ২২৭ লট (প্রতি লটে ২৫ টন) পাম অয়েল লেনদেন হয়। কুয়ালালামপুরভিত্তিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন বৃদ্ধি পাম অয়েলের দর কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
গত মার্চে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে এক দশমিক ৫৭ মিলিয়ন টন। আগের মাসের তুলনায় এটি ১৭ শতাংশ বেশি। এদিকে চলতি মাসে পণ্যটির উৎপাদন আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। মূলত এ কারণেই পাম অয়েলের দর কমছে।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে সস্তায় ভোজ্যতেল আমদানি করায় ভারতের স্থানীয় তেলের চাহিদা ও দাম কমে গেছে। এতে স্থানীয় উৎপাদনকারীরা আমদানি করা তেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারছেন না। তাই সম্প্রতি সরকারি এক আদেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশ পণ্যটি আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানিতে পূর্বনির্ধারিত ৩০ শতাংশ থেকে শুল্ক বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৪ শতাংশ এবং পরিশোধিত পাম অয়েলে ৪০ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশ করা হয়েছে।
শুল্কারোপের পর খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ লাখ টন পাম অয়েল ক্রয়াদেশ বাতিল করে দিয়েছে ভারতের ক্রেতারা। এরপর থেকেই পণ্যটির দর নি¤œমুখী ধারায় রয়েছে।
