শেয়ার বিজ ডেস্ক : ২০১৭ সালে মালয়েশিয়া থেকে ৯৩৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন রিঙ্গিত বা ২৩৯ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এটি ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। ২০০৫ সালের পর এটিই দেশটির সর্বোচ্চ রফতানি প্রবৃদ্ধি। খবর সিনহুয়া।
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি মাত্র চার দশমিক সাত শতাংশ হলেও পুরো বছরে দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো ছিল।
ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিকস খাতে রফতানি ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার সার্বিক রফতানিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ খাতে গত বছর ২০১৬ সালের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক দুই শতাংশ।
এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে গত বছর রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। খনিপণ্য রফতানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং কৃষিপণ্য রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত বছর মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস, আশিয়ান। এ দেশগুলোতে দেশটির রফতানি ২০১৬ সালের তুলনায় বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ছিল সিঙ্গাপুর। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার রফতানি আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৯ দশমিক চার শতাংশ ও ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
এদিকে গত বছর চীনে ১২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে মালয়েশিয়া। আগের বছরের তুলনায় এটি ২৮ শতাংশ বেশি। ২০০৯ সাল থেকে চীন দেশটির অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। মালয়েশিয়া ও চীনের বাণিজ্য গত বছর বেড়েছে ২০ দশমিক ছয় শতাংশ।
এছাড়া মালয়েশিয়ার অন্যতম আমদানির উৎসও চীন। গত বছর মোট আমদানির ১৯ দশমিক ছয় শতাংশই এসেছে চীন থেকে।
সব মিলিয়ে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার আমদানি আগের বছরের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৮৩৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন রিঙ্গিতে পৌঁছেছে। গত বছর দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্তও ১০ দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে ৯৭ দশমিক ২৫ বিলিয়ন রিঙ্গিতে পৌঁছেছে।
মালয়েশিয়ায় তৈরি বস্ত্র ও পোশাকের গুণগত মান ভালো হওয়ায় বিশ্ববাজারে রফতানি চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে মালয়েশিয়া থেকে এসব পণ্য ক্রয়ের চাহিদা বেড়ে গেছে।
২০১৮ সালে এ খাতে রফতানি বেড়ে ৬৩৮ দশমিক তিন বিলিয়ন রিঙ্গিত হবে বলে প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে দেশটিতে ৯৭০টি গার্মেন্ট এবং টেক্সটাইল কারখানা নথিভুক্ত আছে, যার মধ্যে ৪০০ কারখানা রেডিমেট গার্মেন্টস, ৮০টি সুতা ও বাকিগুলো বস্ত্র নির্মাণ কারখানা।