শেয়ার বিজ ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় এযাবৎকালের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবারের এ নির্বাচন-পরবর্তী পাঁচ বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি সংস্কারের গতিবিধি ঠিক করতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর: চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
মালয়েশিয়ার ১৫তম নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে নয়শ’র বেশি প্রার্থী অংশ নেন। তারা সংসদের ২২২টি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে মালয়েশিয়া। এ কারণে দেশটিতে ‘স্থিতিশীলতা’ ফেরানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব আগাম নির্বাচনের ডাক দেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আনোয়ার ইব্রাহিম এ সপ্তাহে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। জনমত জরিপে অভিজ্ঞ এ বিরোধী নেতাকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই লড়াইয়ে এগিয়ে রাখা হয়েছে। গতকালের সাধারণ নির্বাচনকে ১৯৫৭ সালে দেশটির স্বাধীনতার পর সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বলা হচ্ছে।
জনমত জরিপে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাস দেয়া হয়েছে। সরকার গঠনে কোনো দল কিংবা জোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্লেষকরা বলছেন, আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট বেশি আসনে জয় পেতে পারে। তবে সেটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিরোধী নেতার ভূমিকায় রয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তবে প্রধানমন্ত্রী সাবরি ইয়াকুব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলো এক হলে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পেতে পারে। এতে এ যাত্রায়ও আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।
প্রসঙ্গত, সাবরি ইয়াকুব ও মুহিউদ্দিনের জোট ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশ। তবে নির্বাচনে তারা আলাদাভাবে লড়েছেন। দুই আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ আসন দুটি হচ্ছে মালয়েশিয়ার উত্তরপূর্ব প্রদেশ কেদারের পাদাং সেরাই ও বর্নিয় দ্বীপের প্রদেশ সারাওয়াকের বারাম।
নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। দেশটির প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি দেখা দিতে পারে, বাড়ছে মূল্যস্ফীতিও। দেশটির অনেক নাগরিক সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে হতাশ। তারা মনে করছেন, এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে রাজনীতিকদের নজর সরে গেছে।
