মাসের শেষদিনে লেনদেন বাড়লেও সূচক নেতিবাচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাসের শেষদিনে গতকাল উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের নেতিবাচক গতিতে লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও সবকটি সূচক ও বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়। মূলত: বিক্রির চাপে লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে দর বেড়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ কোম্পানির। কমেছে ৬২ শতাংশ কোম্পানির। লেনদেনের শুরু থেেেকই বিক্রির চাপ শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নামতে থাকে। এরপরের আধঘণ্টা কেনার চাপ বাড়লেও তা খুব সামান্য। এরপর ফের পতন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এ পতন অব্যাহত থাকে। লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের ২৮ পয়েন্ট পতন হয়। বাকি দুই সূচকও নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে চার হাজার ৯৪৭ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে এক হাজার ১৩৮ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক আট দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে এক হাজার ৭৫৯ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন দুই হাজার ১৩৫ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৪ কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৪ কোটি ১২ লাখ শূন্য তিন হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এদিন ২২ কোটি ৮২ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৪টি শেয়ার এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬৩ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৫৪ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ২২১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪১টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে মুন্নু জুট স্টাফলার্স। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ৫১ টাকা ১০ পয়সা। এরপরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৮০ পয়সা। সামিট পাওয়ারের ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। ন্যাশনাল টিউবসের ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর পতন হয় এক টাকা ৭০ পয়সা। ফরচুন শুজের ৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর পতন হয় ৮০ পয়সা। এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, স্টাইল ক্রাফটের ৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। গ্রামীণফোনের ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৯ কোটি টাকা, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে আট কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের দর ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের দর আট দশমিক ৪৭ শতাংশ, এশিয়ান টাইগার্স গ্রোথ ফান্ডের আট দশমিক ৪৭ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের দর সাত দশমিক ৬৪ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের দর ছয় দশমিক ৭৭ শতাংশ, এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ডের দর ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দর ছয় দশমিক ৪৫ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের দর ছয় দশমিক ১৯ শতাংশ, গ্রীনডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের দর পাঁচ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে।
৯ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে মিথুন নিটিং। আলহাজ্ব টেক্সটাইলের দর আট দশমিক ৮৭ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের দর সাত দশমিক ৮৬ শতাংশ, তুংহাই নিটিংয়ের দর সাত দশমিক ৬৯ শতাংশ, স্টাইল ক্রাফটের দর সাত শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ছয় দশমিক ৬৮ শতাংশ, জাহিন স্পিনিংয়ের দর ছয় দশমিক ৫৭ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকের দর ছয় দশমিক ১৯ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের দর পাঁচ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের দর পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে।
সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৩৭ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৩৯ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দর।
সিএসইতে এদিন ৭৪ কোটি ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৮ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার, সিঙ্গার বিডির ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ব্যাংক এমিয়ার আট কোটি ৬০ লাখ টাকার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাত কোটি ২৯ লাখ টাকার, ম্যারিকোর তিন কোটি ৪৪ লাখ টাকার, স্টান্ডার্ড ব্যাংকের দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকার, যমুনা ব্যাংকের দুই কোটি ২৬ লাখ টাকার, আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের এক কোটি ৮৬ লাখ টাকার, বিএসআরএম স্টিলের এক কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০