মাসে এক দিন ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত থাকবে মানিক মিয়া এভিনিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবারে সংসদ ভবনের সামনের সড়ক মানিক মিয়া এভিনিউ ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত থাকবে। গতকাল বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিশ্বের দেড় হাজারের বেশি শহরে গতকাল এ দিবসটি পালন করা হয়। একইভাবে ঢাকাতেও দিবসটি পালন করা হয়। ৪৯টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে দিবসটি পালন করে। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সড়কে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা, সাইকেল শোভাযাত্রা, ঘুড়ি ওড়ানো, বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এর আগে ওবায়দুল কাদের দিবসটির উদ্বোধন করে বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস কাগজে লিখলাম, সুন্দর সুন্দর বক্তব্য দিলাম, বাস্তবতা যদি না থাকে তাহলে এসব কথা বলে লাভ নেই। শুধু মুখে নয়, কারমুক্ত দিবসের যথার্থতা যেন উপলব্ধি করি ও বাস্তবতা যেন প্রয়োগ করি। এজন্য মাসে অন্তত এক দিন মানিক মিয়া এভিনিউ গাড়িমুক্ত রাখতে চাই।

বক্তব্যের একপর্যায়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার মানিক মিয়া এভিনিউকে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত সড়ক হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের কথা স্মরণ করে তার সুস্থতা কামনা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক বিভাগের সচিব ছাড়াও অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে হাসান আলম, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মসিউর রহমান, ঢাকা সড়ক প?রিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মজুমদার, ওয়ার্ক ফর অ্যা বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২০০৬ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়েছে। গত বছরগুলোতে বেসরকারি উদ্যোগে পালিত হলেও ২০১৬ সালে প্রথমবার সরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সরকারি-বেসরকারি ৪৯টি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে ঢাকায় দিবসটি পালন করা হলো।