ক্রীড়া ডেস্ক: দুজনই পরীক্ষিত ক্রিকেটার। কিন্তু একজন রয়েছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে; অন্যজন টিকে থাকার লড়াইয়ে। কিন্তু গতকাল পচেফস্ট্রম টেস্টের তৃতীয় দিনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক মিলে গেলেন এক জায়গায়। দলের বিপর্যয় ম–হূর্তে লড়লেন বুক চিতিয়ে। তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ফলোঅন এড়ালো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২০ রানে থেমেছে টাইগাররা। ১৭৬ রানের বড় লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা।
ফলোঅন এড়ানোর জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৯৬ রান। কিন্তু আগের দিনের ১২৭ রানের সঙ্গে ৩১ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। এরপরই টাইগার শিবিরে ভর করে ফলোঅন-শঙ্কা। কিন্তু সফরকারীদের আশা দিচ্ছিল মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট ৬৯ রানের জুটি। এরপরই কেশব মহারাজের বলে মুমিনুল ৭৭ রানে আউট হলে আবারও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে তখন বাংলাদেশের আরও প্রয়োজন ছিল ৬১ রান। সে সময় জ্বলে ওঠেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্য প্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাব্বির রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিব আল হাসান বিশ্রামে থাকায় সুযোগ পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। গতকাল নিজের সামর্থ্যরে প্রমাণও দিলেন তিনি। দলের অতিপ্রয়োজনীয় মুহূর্তে করলেন হাফ সেঞ্চুরি। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৪তম অর্ধশতক। সপ্তম উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়ার সঙ্গে ফলোঅনও এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন তিনি।
ইনিংসের ৮০ ওভার হলেও নতুন বল নেননি না ফাফ ডু-প্লেসি। পুরোনো বলেই আস্থা রাখলেন তিনি। তাতেই তাকে সাফল্য এনে দিলেন ডুয়ানে অলিভিয়েরা। সাব্বিরকে এ ডানহাতি দিলেন শরীর সোজা শর্ট বল। একটু ভেতরে ঢোকা বলে চোখ সরিয়ে আড়াআড়ি ব্যাটে সাব্বির (৩০) খেললেন দৃষ্টিকটুভাবে। ব্যাটে লেগে বল গেল স্টাম্পে। এর ফলে ভাঙল মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার ৬৫ রানের জুটি।
সাব্বিরের বিদায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরলেন সাজঘরে। নতুন বলে মরনে মরকেল বোল্ড করলেন তাকে। দলীয় স্কোর তিনশ পার করে ব্যক্তিগত ৬৬ রানে ফেরেন রিয়াদ। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংসও হয়ে যায় শেষ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া মরকেল ও রাবাদা নেন দুটি করে উইকেট।