মাহমুদুর রহমান মান্নার ‘গুম’ উপন্যাসের মোড়ক উম্মোচন ও তার কয়েকটি গ্রন্থের আলোচনা বৃহস্পতিবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
গুম উপন্যাস নিয়ে কথা বলেন অধিকার-এর পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান, মায়ের ডাক-এর প্রধান সমন্বয়ক আফরোজা আঁখি ও ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস।
তারা বলেন, গুম হওয়া পরিবারগুলোর যে কথাগুলো আমরা স্বল্প পরিসরে ঠিকঠাক প্রকাশ করে উঠতে পারি, তার সবই মাহমুদুর রহমান মান্না তুলে ধরেছেন। তিনিও গুম হয়ে ফিরে আসা মানুষ। আমাদের এই পরিবারের মানুষগুলোর সঙ্গে তিনি সবসময় ছিলেন, হƒদয় দিয়ে তাদের কথা শুনেছেন, অনুভব করেছেন এবং তুলে ধরেছেন। উপন্যাসের নায়ক অর্ক এবং সব চরিত্রের কোন ঘটনাটি মায়ের ডাকের সঙ্গে আসা গুম হওয়া কোনো পরিবারের কারও ঘটনার সঙ্গে মিলে যায়, তা বর্ণনা করেন।
কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ১৯৮৮ সালে প্রথম প্রকাশিত মাহমুদুর রহমান মান্নার উপন্যাস ‘বিপ্রতীপ’ এখনও তার আবেদন একই রেখেছে এই সমাজে। বইটির প্রথম রিভিউ করেছিলাম বিচিত্রা পত্রিকায় আমি আব্দুল হাই শিকদার। সেটি ছিল বিচিত্রার পাঁচ পৃষ্ঠাজুড়ে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনীতি যার প্রধান কর্ম তাকে, একজন মাহমুদুর রহমান মান্না আজ গুম নিয়ে উপন্যাস লিখছেন গুম হওয়া পরিবারগুলোর অধিকার আদায়ের জন্য, তাকে লিখতে হচ্ছে। অথচ লিখছেন না যথেষ্টভাবে যারা সাহিত্যশিল্পের চর্চাকেই ধ্যানজ্ঞান করেন। তারা হয়তো লিখতে পারছেন না। এটিই রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা।
বইটি সবারই পড়া উচিত। পরবর্তী সংস্করণে কাগমারী সম্মেলন আমাদের সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে যে প্রভাব ফেলে, ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি আমাদের রাজনীতিতে যে প্রভাব রাখে, এমন বিষয়গুলো আরও সবিস্তারে অধিক গুরুত্ব যোগ করার জন্য অনুরোধ করেন সাইফুল হক।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী এসএমএ কবীর হাসান জানান, ‘গুম’ এবং ‘কারাবাসের বাইশ মাস’ বই দুটির ইংরেজি অনুবাদ ও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে নাগরিক প্রকাশন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কারাবাসের বাইশ মাস বই নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি। বিজ্ঞপ্তি