নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসায়ী ও টিভি উপস্থাপক হিসেবে সমান জনপ্রিয়। এরপর দুই বছর আগে রাজনীতির খাতায় নাম লেখানো। স্বল্প সময়ে বেশ কিছু সফল উদ্যোগ। এরপর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। তিনি ক্ষণজন্মা মেয়র আনিসুল হক। আজ বিকালে বনানীতে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও শোক প্রকাশ করেছেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আনিসুল হকের মরদেহবাহী বিমান বাংলাদেশ আসবে। আসরের নামাজের পর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আনিসুল হক স্নায়ুরোগে ভুগছিলেন। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ব্যক্তিগত কারণে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন মেয়র। চিকিৎসার জন্য তাকে গত ১৩ আগস্ট লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। এরপর প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আনিসুল হক একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় একাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।