মায়ের দুধ শিশুর শরীর ও দাঁতের আদর্শ খাদ্য। এক ফিডার দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। ঘুমের মধ্যে শিশুকে ফিডার দেবেন না। এতে দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হয়। দেড় থেকে দুবছরের শিশুকে কাপে দুধপানের অভ্যাস করান
সময়মতো শিশুর দুধ-দাঁত ফেলে দেবেন। না হলে স্থায়ী দাঁত আঁকাবাঁকা হওয়ার আশঙ্কা থাকে
শিশু, কিশোর-কিশোরীর যদি আঙুল চোষার অভ্যাস থাকে, তবে তা ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে। নতুবা দাঁত আঁকাবাঁকা ও উঁচুনিচু হতে পারে
আঁশযুক্ত ও শক্ত খাদ্য যেমন গাজর, পেয়ারা, আমড়া, আখ, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল প্রভৃতি দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ওপরের চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে সহায়তা করে
লেবু, আমলকী, কমলা, টমেটো ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে, যা দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী
গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। এতে শিশুর দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শিশু জš§ানোর পরও এ-জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ১২ বছর পর্যন্ত দেবেন না। কারণ এতে স্থায়ীভাবে দাঁতের ক্ষতি হবে।
দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে
দাঁত নষ্ট হয় কিছু বদভ্যাস ও অনিয়মিত পরিষ্কারের কারণে। তাছাড়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সবার সমান নয়। যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেন, নিয়মিত পরীক্ষা করান, তাদের দাঁত ভালো থাকে। বছরে এক থেকে দুবার অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের কাছে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা গেলে ফিলিং করিয়ে দীর্ঘদিন দাঁত ভালো রাখা সম্ভব। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে দন্তচিকিৎসার প্রয়োগ ও প্রসার অনেকগুণে বেড়ে গেছে। তাই মূল্যবান দাঁতকে ফেলে দেওয়ার আগে একটু ভেবে দেখা দরকার।
মেহের নিগার মিতু
ডেন্টাল সার্জন, ব্রাইট ডেন্টাল ক্লিনিক