মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে ঘন ঘন খাত বদল করছেন বিনিয়োগকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটে ঝোঁক বেড়েছে তাদের। যে কারণে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর। গতকালের বাজার চিত্রেও এমন ধারা অব্যাহত ছিল।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকেই এ খাতের ইউনিটে বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক আগ্রহ ছিল। বেশিরভাগ ইউনিটেই বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল বেশি। যে কারণে দিন শেষে বাড়তে দেখা যায় এ খাতের বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটদর।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধির প্রধান কারণ বেশিরভাগ ইউনিট দর এখনও অনেক কম। ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে এখন অভিহিত দরের নিচে রয়েছে ৩১টি ফান্ডের ইউনিট দর। এ অবস্থা থেকে দর অভিহিত মূল্যের ওপরে চলে যেতে পারে এমনটি ভাবছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কারণ ইতোমধ্যে ১০ টাকার নিচে দর থাকা অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আবার অভিহিত দরে ফিরে গেছে। সে কারণে অনেকে এ খাতের ইউনিটে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন।
এদিকে গতকালের বাজারে বিমা খাত থেকে মুনাফা তুলতে দেখা বিনিয়োগকারীদের। বেশ কয়েক দিন থেকে এ খাতের শেয়ারদর টানা বেড়েছে। ফলে গতকাল সকাল থেকেই এ খাত থেকে মুনাফা তুলতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। যার জের ধরে দিন শেষে এ খাতে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। অন্যদিকে গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের অংশগ্রহণ আগের দিনের চেয়ে কমে গেলেও দিন শেষে এ খাতটিই এগিয়ে ছিল। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২৯ শতাংশের কিছু বেশি। আগের কার্য দিবসে যা ছিল ৪৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিমা খাতের পর গতকাল লেনদেন এগিয়ে থাকতে দেখা যায় আর্থিক খাতকে। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ণ খাতের মোট লেনদেনে অবদান ছিল প্রায় ১২ শতাংশ।
এদিকে কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে গতকাল সূচকে কিছুটা বড় উত্থান দেখা গেছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বুদ্ধি পায় ৩২ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান দেখা যায় পাঁচ হাজার তিন পয়েন্টে। তবে সূচক বাড়লেও আগের কার্যদিবসের চেয়ে গতকাল লেনদেন কিছুটা কমে যায়। গতকাল ডিএসইতে মোট ৮৭৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার।