আলমগীর হোসেন: বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। তবে মনোবল হারাননি একটুও। তাই গাছের পরিচর্যায় অধিক সময় ব্যয় করেন। বিশেষ করে ঔষধি গাছগাছালির প্রতি তার দরদে একটুও খাদ নেই।
এই ঔষধি বৃক্ষবন্ধুর বাস বগুড়ার কাহালু উপজেলার ডোমার গ্রামে। নাম মো. আবদুল কাদের খান কামাল। এলাকায় তিনি ‘হেকিম’ নামেও পরিচিত। প্রায় তিন যুগ ধরে ঔষধি গাছগাছড়ার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।
শুধু কি তা-ই? প্রায় প্রতিদিন নানা এলাকা ঘুরে মানুষের কাছে গাছের উপকারিতা সম্পর্কে কথা বলেন এবং ঔষধি গাছের মাধ্যমে মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে পরামর্শ দেন।
পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধবের চেয়ে ঔষধি গাছগাছড়ার সঙ্গেই তার মিতালি। প্রথম দেখাতেই তাকে ও তার কাজ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। কখনও তিনি গাছের পরিচর্যায় মগ্ন, আবার কখনওবা লতাপাতা নিয়ে ছুটছেন কারো সেবায়।
কেবল প্রচলিত ধ্যান-ধারণায় আবদ্ধ না থেকে নিজের কাজে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নানা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সারাবছরই নিজস্ব জমি অথবা লিজ নেওয়া জমিতে কোনো না কোনো ঔষধি গাছ লাগানোর চেষ্টা করেন। অন্তত গাছ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। কেবল গত বছরই প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঔষধি গাছ লাগিয়েছেন। রাস্তার পাশে অনেক বৃক্ষ রোপণ করেছেন।
কয়েক বছর ধরে র্যামেকা, বিজি, ফিয়ার, পিএমসহ নানা ঔষধি গাছের নানা অংশ বিক্রিও করছেন। বর্তমানে তিনি ঔষধি গাছের নানা অংশ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আবদুল কাদের জানান, চলতি মৌসুমে ঔষধি গাছের পাশাপাশি আলুর চাষও করেছেন। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আলুসহ ঔষধি গাছের
কিছু ক্ষতি হয়েছে। একটুও না দমে বিপুল উৎসাহে আবারও গাছ লাগানো শুরু করেছেন। পরিচর্যা করছেন।
বগুড়া