নিজস্ব প্রতিবেদক: চোরাচালানের উদ্দেশে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা একটি বিশাল পণ্য চালান জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-গোয়েন্দা অধিদফতর। চট্টগ্রাম বন্দরে গতকাল এগুলো জব্দ করা হয়। মোট ১২টি কন্টেইনারে আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট, এলইডি মনিটর ও দামি ব্র্যান্ডের মদ আনা হয়েছে। গতকাল এগুলোর মধ্যে ৬টি কন্টেইনারের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আজ আরও ৬টির কায়িক পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে শুল্ক-গোয়েন্দা।
সূত্র জানায়, গতকাল প্রথম কন্টেইনারটির কায়িক পরীক্ষা করা হয়, সেটির পুরোটাই পূর্ণ ছিল সিগারেট দিয়ে। দ্বিতীয় কন্টেইনারের অর্ধেকটা সিগারেট ও বাকিটা পূর্ণ ছিল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এলইডি টেলিভিশন দিয়ে। এগুলোর মধ্যে ৪৮ ইঞ্চি, ২৪ ইঞ্চিসহ বিভিন্ন আকারের স্যামসাংয়ের টেলিভিশন রয়েছে। তৃতীয় কন্টেইনারেও পাওয়া যায় টেলিভিশন ও সিগারেট। আর চতুর্থ কন্টেইনারের ৮০ শতাংশ পূর্ণ ছিল বিভিন্ন দামি ব্রান্ডের মদে। বাকিটা ছিল টেলিভিশন। আর পঞ্চম ও ষষ্ঠ কন্টেইনারেও টেলিভিশন ছিল বলে শুল্ক-গোয়েন্দা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক-গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান শেয়ার বিজকে বলনে, চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া দামি মদ, সিগারেট ও এলইডি টেলিভিশনের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় চোরাচালান এটি। যে ছয়টি কন্টেইনার কায়িক পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলোতেও একই ধরনের পণ্য আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে জব্দ হওয়া পণ্যের বাজারমূল্য শতকোটি টাকার ওপরে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আটকের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে মইনুল খান বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জব্দ হওয়া চালানে মোট ২ কোটি শলাকা সিগারেট পাওয়া গেছে। যার বাজার দর প্রায় ৪০ কোটি টাকার মতো। এ ছাড়া যে টেলিভিশন জব্দ হয়েছে, তার প্রত্যেকটির দাম ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো। মিথ্যা ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছে বলে শুল্ক-গোয়েন্দা অধিদফতর জানিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে বন্ড সুবিধায় আনা ১৯০ টন কাপড়ের চালান আটক করে শুল্ক-গোয়েন্দা। এগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য মজুদ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ওই সপ্তাহেই দুটি পৃথক ঘটনায় প্রায় ৭ কোটি স্বর্ণবার জব্দ করা হয়।
মিথ্যা ঘোষণার শতকোটি টাকার পণ্য চালান জব্দ

Add Comment