মিথ্যা ঘোষণায় আনা কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ১৫ ধরনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর একটি চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এর আমদানি মূল্য ছিল ৪৫ লাখ টাকা ৫০ হাজার টাকা। তবে সম্ভাব্য রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ছিল ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
গতকাল কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন ও রিচার্স (এআইআর) শাখার দায়িত্ব পাওয়া যুগ্ম কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন শেয়ার বিজকে জানান, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ এলাকার এক আমদানিকারক সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে নিজের ব্যবহারের পণ্য ঘোষণা দিয়ে ২৭ এপ্রিল এ পণ্য আমদানি করে। পরে এসব পণ্য চট্টগ্রাম কাস্টমস শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে কাস্টমস হেফাজতে রাখা হয়। এরপর গতকাল পণ্যগুলোর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে ১০ টন ওজনের ১৫ ধরনের বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের এক কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি প্রসাধনী পাওয়া যায়। এসব প্রসাধনী ধরন অনুযায়ী ৯০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কায়ন যোগ্য। কিন্তু মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ব্যাগেজ সুবিধায় আমদানিকারক এসব পণ্য ছাড় করে নিয়ে যেত। তাতে রাজস্ব হারাত চট্টগ্রাম কাস্টমস। তবে এ আমদানিকারক বিল অফ এন্ট্রিতে নিজের নাম উল্লেখ করেনি।
কায়িক পরীক্ষাকারী চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সোয়েল বলেন, দুবাই থেকে আনা এসব পণ্য সবগুলো যুক্তরাজ্যেও তৈরি। এতে সেম্পু, বডি ওয়াশ, লোশন, অলিভ অয়েল, চুলের ক্রিম, পাউডার, পারফিউম, শেভিং জেল, আফটার শেভ, ফেস ওয়াস, পেম্পাসসহ ১৫ ধরনের পণ্য রয়েছে। এসব পণ্যের ওজন ১০ হাজার ৯০২ কেজি। এর আনুমানিক মূল্য ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তিনি জানান, যে পণ্যের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো ওপরে আমদানিকারক বিশেষ সুবিধায় পণ্য ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল। এদিকে আটক হওয়া পণ্যের ওপর শুল্কহার ৯০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এতে সম্ভাব্য রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এ পণ্যে মূল্য দাঁড়ায় এক কোটি ১২ লাখ টাকার মতো।