মিনিয়াপোলিসে আবার কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যা, বিক্ষোভ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রায় দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। গত বুধবার একই শহরে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক আমির লকের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শহরটিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। খবর: সিএনএন।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল মিনিয়াপোলিসবাসী। পরে বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশের নৃশংসতা ও দেশটির ক্রিমিনাল জাস্টিস ব্যবস্থায় পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ ওঠে তখন।

আমির লকের বাড়িতে পুলিশ বিনা নোটিসে তল্লাশি অভিযান চালানোর একপর্যায়ে গুলিতে নিহত হন তিনি। গত শনিবার এ হত্যার বিচারের দাবিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘বিচার নেই’, ‘শাস্তি নেই’ প্রভৃতি সেøাগান দেন।

পুলিশের তল্লাশির সময় শুয়েছিলেন আমির লক। পুলিশ তালা খুলে তার বাসায় ঢোকে। চিৎকার করে বলতে থাকে ‘পুলিশ, সার্চ ওয়ারেন্ট।’ এ সময় আমির পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল তাক করতেই পুলিশ তাকে তিনটি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মিনিয়াপোলিসের অন্তর্র্বর্তী পুলিশ প্রধান অ্যামেলিয়া হাফম্যান বলেন, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করায় তৎক্ষণাৎ গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে নিহত হন আমির। কাউন্টির অ্যাটর্নি কার্যালয় ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, কোনো সতর্কতা ছাড়াই পুলিশি তল্লাশির ওই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আমির লকের অধিকার রয়েছে তার নিজ বাড়িতে বন্দুক তাক করার। তাছাড়া তাকে নিরস্ত্র হওয়ার কোনো সুযোগও দেয়নি পুলিশ বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।

তবে পুলিশ জানায়, আমিরের বাড়িতে ‘নো-নক ওয়ারেন্ট’ তল্লাশি চালিয়েছেন তারা। এ পদ্ধতিতে তল্লাশির আগে আগাম জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। একটি খুনের ঘটনার তদন্তের আওতায় সেন্ট পল পুলিশ বিভাগ এই সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিল।

বিক্ষোভকারীরা ‘নো-নক’ ওয়ারেন্ট নিঃশর্তে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আমিরকে গুলির ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের শিগগির গ্রেপ্তারের এবং মেয়র ও পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।

জানা গেছে, ওয়ারেন্টে আমিরের নাম ছিল না। তাছাড়া পুলিশ স্বীকার করেছে, খুনের ঘটনার তদন্তে আমির কীভাবে জড়িত ছিলেন বা আদৌ তার কোনো সংযোগ ছিল কি না সে ব্যাপারে তারা স্পষ্ট কিছু জানেন না। নিহতের পরিবারের আইনজীবীরা বলছেন, আমিরের অপরাধের কোনো ইতিহাস নেই। তাকে যখন গুলি করা হয় সে সময় তার হাতে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০