শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারের সরকারি মালিকানাভুক্ত মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি দপ্তরের দেয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, মিয়ানমারের শাসক জান্তার সম্প্রসারণ থামানোর লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমওজিই হচ্ছে সামরিক সরকারের আয়ের প্রধান উৎস। মিয়ানমারের সরকার বিদেশ থেকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম কেনার জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করেছে। এ ব্যবস্থায় আমেরিকানদের জন্য ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পরিষেবা-সংক্রান্ত সব তৎপরতা, যেমন তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ, হিসাব, বিমা, বিনিয়োগ প্রভৃতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞায় পুরোপুরিভাবে এমওজিইকে ব্লক করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কানাডা ও ব্রিটেনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলবে, যাতে এই তিনটি দেশকে একই নিয়মের মধ্যে রেখে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি যে, বার্মায়
ক্রম-অবনতিশীল মানবাধিকার, মানবিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোচনে তারা যেন তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। বর্তমান সামরিক সরকারের সর্বোচ্চ নির্বাহী সংস্থা মিলিটারি কাউন্সিলের প্রধান তিনি।
এরপর ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এমওজিই’র ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো চাপ দিয়ে আসছে। গোষ্ঠীগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বর্তমান মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে মিয়ানমারের বৃহত্তম দুই সরকারি ব্যাংক মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। এই দুটি ব্যাংক ক্ষমতাসীন জান্তার বড় আর্থিক উৎস।