শেয়ার বিজ ডেস্ক : দীর্ঘ ৫০ বছরের সামরিক শাসনের পর মিয়ানমারে আজ রোববার কার্যত দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এছাড়া আঞ্চলিক পর্যায়ে আরও ৯১ দল অংশ নিচ্ছে। তবে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যসহ ৫৬টি শহরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত মোট দলের সংখ্যা ৯৫টি। নির্বাচনে মোট ভোটারসংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে তরুণ ভোটার রয়েছে ৫০ লাখ। তবে বরাবরের মতোই ২৬ লাখ জাতিগত সংখ্যালঘু মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে
ভোটকেন্দ্রে কমসংখ্যক ভোটার উপস্থিত হবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এবারের নির্বাচনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ও রাখাইন
জাতিগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় তাদের রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
এদিকে মিয়ানমারে সর্বজনগ্রাহ্য একটি নির্বাচন আয়োজনে প্রধান অন্তরায় দেশটির সংবিধান। সংবিধান অনুসারে, দেশটির পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ আসন পূর্ণ হয় জনগণের ভোটে। বাকি ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনী মনোনীত সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। ২০০৮ সালে গ্রহণ করা সংবিধানের আলোকেই ২০১৫ সালে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল। ওই সংবিধানে এমন সব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে, যাতে অং সান সু চি আর কোনোদিনই প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন সু চি। এমনকি তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগও ওঠে।